রাজবাড়ি প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীতে করোনা নিয়ে বিতর্কের জের ধরে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। চায়ের দোকানে আড্ডায় করোনা বিতর্কের পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
শনিবার (২১ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাজবাড়ি জেলার সদর উপজেলার ভবদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম লাবলু (৪৮)।
লাবলু সদর উপজেলার ভবদিয়া গ্রামের মৃত ওয়াকিল উদ্দির ছেলে। সংঘর্ষে আহতরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (১৮ মার্চ) ভবদিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্লা ও খালেক ফকিরসহ কয়েকজন চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল। আড্ডায় করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। স্থানীয় এক বৃদ্ধের মৃত খবর নিয়ে একজন বলেন “এটা করোনা”, অন্য কেউ বলেন “গজব”। করোন-গজব নিয়েই মূলত তর্কের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে রাতে আপোষের কথা থাকলেও তা হয় নি।
পরদিন সকালের ঘটনার জেরে স্থানীয় রাস্তার উপর মান্নান মোল্লাকে ঘুষি দেন খালেক ফকির। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে লাবলু মোল্লা নিহত হন।
নিহত লাবলুর ভাতিজা সৌরভ জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে বিতর্কের জেরে সকালে খালেক, গাফফার, সুলতান, ছালেক, মামুনসহ অনেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার চাচাদের ওপর হামলা করে। এ সময় লাঠির আঘাতে তার চাচা লাবলু মোল্লাসহ কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক লাবলু মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘লাবুল মোল্লার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার পর সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এছাড়াও এ ঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১২জন চিকিৎসা নিয়েছেন। দুজনকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন মজুমদার বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’