ঢাকারবিবার , ২২ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ॥ প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ ক্রেতারা

Tito
মার্চ ২২, ২০২০ ৪:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ॥
মণিরামপুরে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে চাউল, আলু, পেঁয়াজ রসুনসহ নিত্যপণ্যের দাম। বাজার মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় সবমহলে আলোচনা চলছে করোনা ভাইরাসের কারণে। তবে কি সেটা করোনা ভাইরাসের কারণে? না-কি অতিরিক্ত মুনাফার লোভে এ মূল্যবৃদ্ধি। তবে এব্যাপারে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, চাউলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে গত ১০দিন ধরে। প্রতি কেজি চাউলে ৪ থেকে ৫টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারী বিক্রিতে প্রতি কেজি চাউলে বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৫টাকা। গত ১০দিন এ মূল্য চলছে। পাইকারী ২৮ চাউল বিক্রি হয়েছে ৪৪টাকা কেজি ধরে। খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪৬টাকা কেজি ধরে। মিনিকেট চাউল পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৪৫টাকা। খুচরা বিক্রি হয়েছে ৪৭টাকা। চাউলের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে করোনা ভাইরাস কোন কারণ না। হঠাৎ করে ধানের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় চালের মূল্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর বৌরো ধান বাড়ীতে আসার ২০-২৫দিন আগেই ধানের বাজার ওঠে। প্রতি মণ ২৮ ধান ৮’শ ২০ টাকার স্থলে হঠাৎ ৯’শ ৩০ টাকা হয়েছে। প্রতি মণ ধানে ১’শ ১০টাকা বৃদ্ধির কারণেই চালের বাজার একটু বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা বিক্রেতা আবু সাঈদ বলেন, খুচরা এবং পাইকারী চাল বিক্রিতে প্রতি কেজি মূল্যব্যবধান ২ থেকে আড়াই টাকা চলছে। তবে এটা কোন করোনার কারণে না। এটা সাধারণ জনগণ হঠাৎ আলোচনায় আনে করোনা ভাইরাসের কারণে বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজ, রসুন এবং আলুর বাজার দ্বিগুন হয়েছে। গেল সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি দরে। রোববার বাজার ঘুরে দেখা গেল ৩০টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০টাকা দরে। ৫০টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১’শ টাকা করে। আলুতে প্রতি কেজিতে বেঁড়েছে ২টাকা করে।
খুচরা তরকারী বিক্রেতা রায়হান জানায়, করোনা ভাইরাসের কারনেই দাম বেড়ে গেছে পেঁয়াজ, রসুন এবং আলুর। পাইকারী ব্যবসায়ী ফিরোজ এবং আব্দুল্লাহ বলেন, আলু, পেঁয়াজ, রসুনের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে পরিবহণ সংকটের কারণ। এছাড়া এক শ্রেণীর জনসাধারণ প্রয়োজনীয় এসব মালামাল কিনছে দেদারাচ্ছে। এ কারণে একটু মূল্য বেড়েছে। তবে প্রধান কারণ হচ্ছে এসব পণ্য বাইরের থেকে আমদানী করার ক্ষেত্রে পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি। তবে করোনা ভাইরাস আতংকে শহরে জনসাধারণের সমাগম অনেকাংশে কমেছে।
দ্রব্যমূল্যের এমন উর্ধগতি থাকলেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ্ট নন সাধারন ক্রেতা। একাধিক ক্রেতা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক এসে ছবি উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলেই, দর যা তাই। বহর নিয়ে বাজারে এসে দর নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয় বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরীফের মন্তব্য নিতে তার অফিসিয়াল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাজার মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান জানান, আমরা মনিটরিং করে দেখেছি দর বাড়েনি। তবে কোন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সুনিদৃষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।