বিশেষ প্রতিনিধি।।
নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিলেও এর ব্যত্যয় ঘটছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এমন অভিযোগ পাওয়াগেছে বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমান পোষ্টিং রয়েছে ১৯ জন ডাক্তারের। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখাযায়, বহির্বিভাগের গেট বন্ধ। তবে এ সময় গেটে নোটিশবোর্ড ঝুলতে দেখাযায়। নোটিশে উল্লেখ রয়েছে জ্বর, সর্দি ও কাশি হলে বাসায় অবস্থান করুন এবং মোবাইলে(০১৭৩০-৩২৪৫৮৬) চিকিৎসা নিন। এ সময় কল করা হয় নোটিশের ওই মোবাইল নম্বরে। কিন্তু রিসিভ করা হয়নি। পরবর্তিতে যাওয়া হয় জরুরী বিভাগে। অবশ্য এ সময় সেখানে পাওয়া যায় মেডিকেল অফিসার ডা: শারমিন সুলতানা, স্যাকমো আলেক উদ্দিন এবং ওয়ার্ডবয় আকতার হোসেনকে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথের কক্ষ খোলা থাকলেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। অন্যসব ডাক্তারদের কক্ষ বন্ধ পাওয়া যায়।
বহির্বিভাগ বন্ধের ব্যাপারে কথা হয় ওয়ার্ডবয় আকতার হোসেনের সাথে। তিনি জানান, একটু আগেই ডাক্তার সাহেবরা চলে গেছেন। এ সময় মোবাইলফোনে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুভ্রা রানী দেবনাথের সাথে। তিনি দাবি করেন স্বাধীনতা দিবসে বেলা ১১ টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ খোলা ছিল এবং সেখানে দায়িত্বে ছিলেন ডা: দিপংকর, ডা: ফারুক আজম, ডা: আনিচুর রহমানসহ চার জন। কিন্তু স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, করোনা ভাইরাস আতংকের কারনে বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগ খোলা হয়নি। ডা: শুভ্রা আরো জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনিসহ মোট ১৯ জন ডাক্তার থাকলেও করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বহির্বিভাগে সকাল আটটা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত চারজন এবং জরুরী বিভাগে সার্বক্ষনিক একজন ডাক্তার রাখা হয়েছে।