ঢাকারবিবার , ২৯ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে বিদেশ ফেরৎ যুবকের সর্দি-কাশি : এলাকায় আতংক

Tito
মার্চ ২৯, ২০২০ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর থেকে।।
মণিরামপুরের কোদলাপাড়ায় মালয়েশিয়া ফেরত কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক যুবক সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শনিবার বিকেল থেকে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র বলছেন, স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ওই যুবক গত ১৮ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসেন। এরপর তিনি অবাধে চলাফেরা শুরু করেন। পরে বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে তাকে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বাধ্য করা হয়। গত শুক্রবার রাত থেকে সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথা শুরু হয় তার। শনিবার সকালে খবর পেয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী রাশিদা আক্তার ওই বাড়িতে গিয়ে রোগীর সাথে কথা বলে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শুভ্র রানী দেবনাথকে জানান। শুভ্রা রানীর দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওই যুবককে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেন রাশিদা আক্তার। এখন ওই যুবক সুস্থ রয়েছেন বলে জানান রাশিদা আক্তার। তবে যুবকের সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বিষয়টি দায়িত্বশীল বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোনে জানাচ্ছেন। ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমনটি ভেবে তারা রীতিমত কানাঘুসো শুরু করেছেন। এমনকি আতঙ্কে কেউ ওই বাড়ির আশপাশেও যাচ্ছেন না।
তবে স্বাস্থ্যকর্মী রাশিদা আক্তার বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা চলছে। ওই যুবক এখন সুস্থ।
এদিকে ভারত থেকে এক দম্পতি তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে উপজেলার হরিদাসকাঠি ইউপির লেবুগাতী গ্রামে বেড়াতে এসেছেন কয়েক দিন আগে। তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা এলাকাবাসী বলছেন। কিন্তু তারা অবাধে চলাফেরা করছেন। একপর্যায়ে তাদের শিশু সন্তানটি ঠান্ডা জ্বর আক্রান্ত হলে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
স্থানীয়রা বলছেন, হাসপাতালে ফোন করে জানানো হলে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী এসে তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে যান। কিন্তু তারা মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, কোদলাপাড়ার ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আর হরিদাসকাঠির লেবুগাতির জ¦রে আক্রান্ত শিশুটির খোঁজ নিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মীরা। তাদের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শিশুটিকে। এখন অবস্থা ভাল।
শিশুটির বাবা-মা কোয়ারেন্টাইন নিয়ম না মানলে পুলিশের মাধ্যমে মানাতে বাধ্য করা হবে।
এই পর্যন্ত মণিরামপুরে ২০৭ জন বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন প্রশাসন। যাদের মধ্যে দুই জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।