ঢাকামঙ্গলবার , ৩১ মার্চ ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অফিস বন্ধ তাই ! যশোরে মাথা ন্যাড়া করার হিড়িক

Tito
মার্চ ৩১, ২০২০ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মনিরুল ইসলাম।।
যশোরে সম্প্রতি মাথা ন্যাড়া করেছেন ও ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করেছেন, এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন সবাইকে গৃহবন্দী থাকতে হচ্ছে। কত দিন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তাঁরা স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরবেন, তার নিশ্চয়তা নেই। এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে নিচ্ছেন। বাইরে বের না হওয়ায় সামনা-সামনি কোনো বিরূপ মন্তব্য শোনার বা কারও মাধ্যমে বিরক্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া সরকারি নির্দেশনায় এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সেলুনগুলোও বন্ধ। দীর্ঘদিন সেলুনে যেতে না পারায় মাথায় চুল বেড়ে যাচ্ছে। গরমের এই সময়ে মাথা চুলকাচ্ছে। তাই বাড়িতে বসেই মাথা ন্যাড়া করে ফেলছেন। কর্মস্থলে ফেরার আগেই মাথায় নতুন চুল গজিয়ে যাবে; আবার চুল পড়া বন্ধ হবে।
যাঁরা এভাবে ন্যাড়া করেছেন, তাঁদের একজন মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জহির ইকবাল। যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, ‘চুল পড়ে যাচ্ছে। শুনেছি, মাথা ন্যাড়া করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতেই থাকছি। ভাবলাম, এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে ফেলি। যদি সুফল পাওয়া যায়। তাই চুল ফেলে দিলাম।’
যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহও মাথা ন্যাড়া করেছেন। তিনি কর্মস্থল বন্ধ থাকায় এই কটা দিন যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার বাড়িতেই আবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘চুল বেড়ে যাওয়ায় গরমে ঘেমে মাথা চুলকাচ্ছিল। এদিকে সেলুন সব বন্ধ। চুল ছাঁটিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। বাড়িতে গিয়ে ছোট ভাইকে বললাম, ব্লেড ধর। মাথা ন্যাড়া করে দে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. ইউনুচ আলী। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার হুগোলডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে আছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল মাথা ন্যাড়া করার। কিন্তু লোকলজ্জার কারণে এত দিন ন্যাড়া করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিন ছুটি। তাই বাড়িতে এসেই আমরা তিন বন্ধু একসঙ্গে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছি। মাথা ন্যাড়া করা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছি। গরমে মাথা থেকে চুল ফেলে দিয়ে ভালোই লাগছে।’
যশোর শহরের চারখাম্বা মোড়ের সীমা হেয়ার কাটিং সেলুনের স্বত্বাধিকারী নিরঞ্জন রায় বলেন, ‘বাড়ি গিয়ে চুল ছাঁটানোর জন্য দু-একজন ফোন দিচ্ছেন। পরিচিত মানুষ হলে বাড়িতে গিয়ে চুল কেটে দিয়ে আসছি। এ জন্য একটু বেশি টাকা নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘সেলুন বন্ধ। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকারি সহায়তাও তো পাচ্ছি না।

মনিরুল ইসলাম
লেখক ও সাংবাদিক
প্রথম আলো
যশোর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।