ঢাকাবুধবার , ১ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রামে এখন করোনা ভাইরাসে ঝুঁকি বেশি

Tito
এপ্রিল ১, ২০২০ ৪:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শাহ্ জালাল, ডেস্ক নিউজ।।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী মরণ ব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে শহর থেকে গ্রামে ছুটে গেছেন মানুষ। দেশব্যাপী হোম কোয়ারেন্টাইনের ছুটিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষ গ্রামকেই নিরাপদ ভেবে ছেড়েছেন শহর।
সুতারাং এখন দেশব্যাপী বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে শহরের চেয়ে গ্রামেই মানুষের ভিড় বেশি। করোনা মহামারী যেখানে সারা বিশ্ব নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে সেখানে গ্রাম ও শহর সবখানেই ভয়। গ্রামের মানুষের সরলতা ও অসতর্কতার সুযোগ নিয়ে প্রবাসীরাও দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা কোয়ারেন্টিন মানছে না। অথচ এই প্রবাসী ভাইয়েরা যদি দেশে এসে একটু কষ্ট করে দেশ ও জাতির সার্থে ১৪টা দিন হোম কোয়ারেন্টিাইন মেনে চলতো তাহলে দেশেকে করোনা মহামারী থেকে মুক্ত রাখা যেত। আজ তাদের এই খামখেয়ালি পানার কারণে করোনা ভাইরাস শেষ পর্যন্ত দেশকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাবে বলা মুশকিল।
চীন, ইরান, ইতালি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি থেকে আমরা পরিষ্কার ধারণা করতে পারি যে, কীভাবে অতি দ্রুত জ্যামিতিক হারে এই মহামারী দাবানলের মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। উপদ্রুত দেশগুলো থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী প্রবাসী ভাইবোনদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণে আমার উপজেলা মনিরামপুরেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হলেও এই পর্যন্ত প্রবাস থেকে মনিরামপুর এসেছেন ১২০৬ জন। তবে এখনও মনিরামপুর করোনাভাইরাসে কোন মৃত্যুর সংবাদ না পাওয়া গেলেও প্রবাস থেকে আগত ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভয়ভিতি ও জরিমানার মধ্য দিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখা গেছে মাত্র ১২৬ জন। এবং দেশব্যাপী সরকারের লক ডাউন ঘোষণা মানছেনা মনিরামপুর বাসি। এটা তো আমার উপজেলার কথা বললাম, তবে সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী সারা দেশের গ্রাম গুলোর একই অবস্থা।
আজ সবকিছু বন্ধ শহর, গ্রামে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী সাথে যৌথবাহিনী কারণ মানুষ যেন একত্রে ভিড় জমায়েত করতে না পারে। কিন্তু কে শোনে কার কথা দেশের যে পরিমাণ প্রশাসনের বাহিনী আছে সবাই মিলে আজ ১৭কোটি মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করাতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে।

খেটে খাওয়া মানুষের কাজ বন্ধ থাকায় অলস সময় কাটানোর জন্য, টেলিভিশনের সংবাদ শোনার জন্য তারাও সকাল-বিকাল চায়ের স্টলে ভিড় করছেন। কাজ নেই তাই প্রয়োজনে হোক আর অপ্রয়োজনে হোক, চা স্টলে আড্ডা ছাড়া যেন দিন কাটে না। বড় কথা, বাড়িতে বসে থাকাটা মনে হয় মেনে নিতে পারছেন না তারা। চা খাওয়া বড় কথা নয়, এখানে সময় কাটানোর একটা উপলক্ষ মাত্র। অভ্যাসের বশে অনেকে নিজের অজান্তেই চা স্টলে চলে আসে। আবার অনেকেই গাড়ি বন্দ তাই পায়েহেঁটে কাছাকাছি আত্মীয় বাড়ি গুলোতে বেড়াচ্ছেন।
গ্রামের সাধারণ মানুষগুলি মুখে অনেকেই মাস্ক পরলেও নিয়ম-কানুন মানছে না। বাজারে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা ঠিকমতো হচ্ছে না। বড় বড় বাজার গুলোতে চায়ের দোকান বন্ধ থাকলেও গ্রামের ভেতরে পাড়ায় পাড়ায় চা স্টল খোলা থাকেছে। গ্রামের মানুষও এ নিয়ে তেমন প্রতিবাদ করে না। যার ফলে গভীররাত পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধকল্পে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে চায়ের দোকানে আড্ডা। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে নিয়মিত মহড়া দেয়া হলেও পুলিশকে ফাঁকি দিয়েই সব হচ্ছে। পুলিশের খবর পেলেই চা বিক্রেতারা দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছে । একটু পরে আবার দোকান খুলছে। এমনকি বখাটেদেরও অপ্রয়োজনীয় আড্ডা চলে। গ্রামের মানুষকে সচেতন ও সতর্ক থাকতে আরও কড়াকড়ি নির্দেশনা দিতে হবে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ঢাল-তলোয়ার লাগে না,শুধু ঘরে বসে থাকলেই হয়। আসুন আমরা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের মহামারিতে মৃত্যের সংখ্যা দেখে আমরা আামাদের বিবেক দিয়ে চিন্তাকরি এবং আমাদের এই জনপদেকে আমরাই রক্ষাকরি। কারণ করোনা ভাইরাসের এখনও কোন ঔষধ বের হয়নি তাই এখন একমাত্র সচেতনতা হচ্ছে এই ভাইরাসের মহা ঔষধ।।

লেখক,
মোঃ শাহ্ জালাল।
(সাংবাদিক, কবি ও কলামিষ্ট)

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।