বিশেষ প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে আ’লীগ নেতার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মধুপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে মধুপুর বাজারে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকসহ অন্তত: চার জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তবে এদের মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়াই উন্নত চিকিৎসার জন্য ছাত্রলীগ নেতা মুছাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু মুছা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে মধুপুর বাজারে মানিকের দোকানে বসে তিনিসহ ৮/৯ জন গল্প করছিলেন। এ সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান ও আওয়ামীলীগ নেতা বুলবুলের নেতৃত্বে আব্দুল্লাহ, সোহাগ, সবুর, ইকবালসহ ১১/১২ জন লাঠিসোটা ও ধারালো দা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রতিবাদ করলে উভয় গ্রপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ছুটে এলে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। এতে মুছা, মানিক, আলিম, হাসানসহ অন্তত: চার জন আহত হয়। স্থানীয়রা এসময় আহত মুছা, মানিক, আলিম এবং হোসেনকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে মুছার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরের দিকে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকাবাসি জানায়, ইউনিয়ন আ’লীগের শীর্ষ স্থানীয় এক নেতার ইন্ধনে বুলবুলের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য কায়েম করে আসছে। সম্প্রতি মুছা ও কতিপয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বুলবুলের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ করতে থাকে। সেই জেরে তাদের উপর হামলা করা হতে পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুব মহিলা লীগ নেত্রী নাজমা খানম জানান, ছাত্রলীগ নেতা মুছার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মণিরামপুর থানার অফিসির ইনছার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।