ঢাকাসোমবার , ১৩ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজধানীতে টিসিবির পণ্য কিনতে মধ্যবিত্তের দীর্ঘ লাইন

Tito
এপ্রিল ১৩, ২০২০ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শাহ্ জালাল, ঢাকা থেকে।।
করোনাভাইরাসের আঘাতক থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ববিধি কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। গত বছরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পণ্য নিয়ে মাঠে আছে টিসিবি।
করোনার প্রভাবে খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য কিনতে নিম্নআয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তরাও ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বিক্রয় কেন্দ্রে ভিড় করতে শুরু করেছেন। লজ্জা ভেঙে দাঁড়িয়েছেন দীর্ঘ লাইনে। কিনছেন কম দামে পণ্য। তবে অনেক বিক্রয় কেন্দ্রেই সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। আজ এমনটাই দেখা মিললো রাজধানীর জিগাতলা কায়সার সুইট এর সামনে। সামাজিক দূরত্ব না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে টিসিবির এক বিক্রেতা বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব মানার কথা বলে দিয়েছি। অনেক সময় আমরাই বিষয়টা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। তবে অনেক সময় সাধারণ মানুষ তা মানছে না। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জিগাতলার এই টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে এসেছেন বেসরকারি চাকুরী জীবি আজাদ । তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে জানান, আমি আমার পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না। আমার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করে, গার্মেন্টস বন্ধ তাই এখনও চলতি মাসের বেতন পাইনি। আমাদের গত মাসের বেতনের টাকা শেষ। ঘরভাড়া, ছেলে-মেয়ের খরচ ও নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। আর এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে আমরা সাহায্য সহযোগীতা পাবো কোথাই সেটাও নিশ্চিত না। তাই এখানে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমে পণ্য কেনা যাচ্ছে। টিসিবির বিক্রেতারা বলেন, কয়েকদিন আগেও টিসিবির এই বিক্রয় কেন্দ্রে নিম্নআয় ও খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেশি লক্ষ করা গেছে। এখন মধ্যবিত্তরাও ভিড় করছেন। প্রতিদিনই তাদের ভিড় বাড়ছে। চেহারা দেখেই টের পাচ্ছি।
মুজিববর্ষকে ঘিরে টিসিবি চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজ ভর্তুকিমূল্যে বিক্রি করেছে। যা করোনা ইস্যুতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ ছাড়া মার্চের এক তারিখ থেকে রমজানকে ঘিরে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। তখন সারা দেশে ৩৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হবে।
এছাড়াও টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিশ্বাস মজুমদার বলেন, প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে ৭০ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এ ছাড়া লিটারে ২৫ টাকা সাশ্রয় হয়েছে সয়াবিন তেলে। আর মসুর ডাল পাচ্ছি ৩০-৪০ টাকা। তিনি বলেন, কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। এই স্থানের বিক্রয় কর্মীরা জানান, একজন ক্রেতা ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি করে চিনি কিনতে পারবেন। এ ছাড়া ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ২ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০ টাকা লিটার দরে সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন একজন ক্রেতা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গত বছর টিসিবি দুই থেকে আড়াই হাজার টন সয়াবিন তেল বিক্রি করলেও এবার ৫০ হাজার টন তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একইভাবে এ বছর ৩০ হাজার টন চিনি খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। গত বছর টিসিবি চিনি বিক্রি করেছিল মাত্র দুই হাজার টন। এ বছর ৮ হাজার টন ছোলা বিক্রি করবে। গত বছর রমজানে ১৫শ’ টন ছোলা বিক্রির প্রস্তুতি ছিল। এবার ৩ হাজার টন মসুর ডাল ও ৫০০ টন খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।
জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবি গত বছরের তুলনায় এবার বেশি পণ্য নিয়ে মাঠে আছে। ডিলারদের পর্যাপ্ত পণ্য দিয়ে প্রতিদিন স্পটে পাঠানো হচ্ছে। পণ্যের কোনো সংকট নেই। সব স্তরের মানুষ কিনতে পারবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।