ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৬ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের পল্লীতে আলাল-জালাল বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ একাধিক প্রবাসী পরিবার

Tito
এপ্রিল ১৬, ২০২০ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর থেকে।।
মণিরামপুরে জায়গা জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে নাজমা বেগম নামে এক গৃহবধূর স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তিতে বসবাসরত বসতবাড়ীর সামনে নেটের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধা দিতে গেলে উপজেলার খড়িঞ্চী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মিনাজ ফকিরের ছেলে রুহুল কুদ্দুস ও জামাল হোসেনের নেতৃত্বে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা বেগম, তার মেয়ে সোনিয়া খাতুন, রিয়া খাতুন এবং প্রিয়াকে মারধর করে স্থানীয় প্রভাবশালী জালাল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ বরাবর অভিযোগ ও একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও মানছেন না প্রভাবশালীরা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার খড়িঞ্চী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মিনাজ ফকিরের ছেলে গংরা উত্তরাধিকার সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির উপর দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছে। মৃত মিনাজ ফকিরের তিন ছেলে আব্দুল মান্নান, রুহল কুদ্দুস ও জামাল হোসেন। রুহল কুদ্দুসের বড় ভাই আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন যাবত মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি স্ত্রী নাজমা বেগম শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করে আসছিল। বর্তমানে আব্দুল মান্নান তার মেয়ে সোনিয়া খাতুন, রিয়া খাতুন এবং প্রিয়াকে জমি লিখে দেওয়ায় অন্য ভাইয়েরা ক্ষিপ্ত হয়ে বসতবাড়ীর সামনে নেটের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখায় ঠিকমত চলাফেরা করতে পারছেন না। বেড়া সরাইতে বলিলে তার ভাইয়েরা প্রভাবশালী জালাল হোসেনকে দিয়ে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী নাজমা বেগম, তার মেয়ে সোনিয়া খাতুন, রিয়া খাতুন এবং প্রিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় অভিযোগ করার পর এস আই আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আপোষ মিমাংসার নির্দেশ দিলেও পুলিশের কোন নিদের্শনা মানছেন না তারা।
অভিযোগ উঠেছে, খড়িঞ্চী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল দফাদারের ছেলে প্রভাবশালী জালাল হোসেন ও আলাল হোসেনের উস্কানিমূলক কর্মকান্ডে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলছে। ওই এলাকার শুধু নাজমা বেগমই না, অনেক সাধারণ মানুষ তার কাছে জিম্মি। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আলাল ও জালাল গংদের বিরুদ্ধে এ জাতীয় অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এলাকার শরীকদের মধ্যে কোলাহ সৃষ্টি করে মানুষকে অবরুদ্ধ করে চাঁদাবাজি করায় এদের প্রধান ব্যবসা। আর এক্ষেত্রে এদের প্রধান টার্গেট প্রবাসীদের পরিবার। ইতিপূর্বেও এক আমেরিকা প্রবাসীর বাড়িতে একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে প্রায় বছর তিনেক তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এ কাজে তারা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িকে ম্যানেজ করে এলাকায় তাদের কর্মকান্ড নির্দিধায় পরিচালনা করছে বলে এলাকাবাসি জানায়। পুলিশ দিয়ে হয়রানী, মামলা ও সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মূখ খুলতে সাহস পায় না।
ভূক্তভোগী গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, আমার স্বামীর জমি মেয়েদের নামে লিখে দেওয়ায় তারা খুব চড়া। প্রতিপক্ষরা পেশি শক্তি বলে আমার বসতবাড়ি নেট দিয়ে ঘিরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। প্রতিবেশী আলালের কাছে বিচার চাইতে গেলে তিনি কিছু না শুনেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জালাল হোসেন নেশাদ্রব্য পান করে আমাকে দা নিয়ে বিভিন্ন সময় খুন করতে আসে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তা ছাড়া অনেকটাই গৃহবন্দিরমত জীবন যাপন করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।