তাইজুল ফয়েজ, গ্রিস থেকে ।।
চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক হিপোক্রাটিস, সক্রেটিস, আলেকজান্ডার এর দেশ গ্রিস। ৪৩০ পূর্ব খ্রীষ্ট এথেন্স একটি মহামারী হয়েছিল তখনকার জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যুবরণ করেছিল। বর্তমান করোনা ভাইরাসে ১৯-৪-২০২০ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২২৩৫ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ১১৩জন। নতুন করে আর কোন আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ২৭এপ্রিল থেকে দেশটিতে লকডাউন শিথিল করা হবে।
আবারও চ্যালেঞ্জের সময়ে গ্রিস সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। বহু শতাব্দীর উত্তরাধিকারী সাম্প্রতিক সময়ে অর্জন করেছে বিষ্ময়কর সাফল্য” গ্রিক আমেরিকান অ্যান্ডি মানাতোস এবং মাইক মানাতোস জানিয়েছেন।
গ্রিসের মার্কিন রাষ্ট্রদূত জিফফি পাইট আমেরিকান হেলেনিক চেম্বার অফ কমার্সকে একটি বার্তায় গ্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী কেরিয়াকোস মিতসোটাকিস কে এই ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে তাঁর বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গি উপলব্ধি করার জন্য প্রশংসা করেছেন। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রতি গ্রিক জনগণের আনুগত্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছিলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদপত্র ও নিউজ ওয়েবসাইটগুলি গ্রিস সরকার ও জনগণের প্রশংসা করছে।
১০ এপ্রিল ব্লুমবার্গ “সংকট মোকাবেলা করতে গ্রিস পারদর্শিতা কীভাবে দেখায়” শিরোনাম সহ একটি এড ও নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। করোনভাইরাস হুমকির প্রতি গ্রিক সরকারের তাৎক্ষণিক ও সাহসী প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেছে: “অ্যাথেন্সের প্রথম কোভিড -১৯ এর মৃত্যুর খবর প্রকাশের ৪দিন এরমধ্যে সমস্ত অপরিহার্য দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে ইতালি এবং স্পেন যথাক্রমে ১৪এবং ৩০দিনের পরে তা করেছে। গ্রিসে অপ্রয়োজনীয় চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মাত্র এক সপ্তাহ পরে এলো এটি অন্য দেশের তুলনায় দ্রুত।
গ্রিক করোনা মোকাবেলায় এত ভালো করার পেছনের রহস্য হচ্ছে দেশের সর্বস্তরের জনগন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মিদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান।
গ্রিক অলিম্পিক ক্রীড়া বিদরা করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করা স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের স্যালুট জানায়।
এইচওসি একটি বিবৃতিতে তার সমর্থনটির পুনর্বার উল্লেখ করে বলেছে, “এইচওসি এবং অলিম্পিক দলের অ্যাথলিটরা কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ডাক্তার, নার্স, হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্স কর্মচারীদের জন্য একটি ভিডিও তৈরি করেছেন তাতে তিনি সমস্ত গ্রিক জীবন ও
আর আমরা কি করছি সেইসব বীরদের জন্য যারা জীবনের মায়া না করে আমাদের সেবা দিচ্ছে? জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন।
দেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন নাই।
পর্যটন নির্ভর দেশ গ্রিস করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দায় পড়বে। এতে করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রিস। আন্তর্জাতিক চিন্তাবিদরা মনে করেন গৃষ্মকালীন ছুটিতে পর্যটকদের পাশাপাশি কলেজ ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা ছুটে আসত এই গ্রিসে জ্ঞান অর্জনের জন্য ইতিহাসের সাক্ষী এই দেশে। যেখান থেকে শুরু হয়েছে পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র। নারী মুক্তি আন্দোলন। সাহিত্য, বিজ্ঞান, চিকিৎসা শাস্ত্র, নাটক, বিশ্বের প্রথম ইউনিভার্সিটি এবং রয়েছে ঐতিহাসিক স্থাপনা। এর জন্য উন্নত বিশ্বের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গ্রীস একটি জ্ঞান অর্জনের পাঠশালা। করোনার প্রভাবে বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রীস। গ্রীসের ট্যুরইজম মন্ত্রনালয়টি করোনাভাইরাস সংকটে ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল এবং ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলিকে সমর্থন করার জন্য ১৪ মাসের ভাউচার জারি করবে।
মন্ত্রণালয় একটি প্রাসঙ্গিক প্রবিধান প্রবর্তন করবে যা পর্যটক ব্যবসায়ের জন্য তাদের ক্লায়েন্টদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ দেবে।
পর্যটনমন্ত্রী হারিস থিওহারিস জানিয়েছেন সুনির্দিষ্ট উদ্যোগটি সপ্তাহের মধ্যেই সংসদে আনা হবে এবং সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের জন্য যে খসড়া বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার একটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পর্যটন মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে ইউরোপীয় কমিশনকে এই পদক্ষেপের সমর্থনের জন্য অনুরোধ করার জন্য একটি চিঠি প্রস্তুত করছে।
জেনে নেই গ্রিস সম্পর্কে ঐতিহাসিক কিছু তথ্য
প্রায় তিন হাজার বছর আগে পৃথিবীতে প্রায় ১৮টি সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তার মধ্যে গ্রিস সভ্যতার স্থান প্রথম। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এর জনসংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ। তার মধ্যে ১ লক্ষ ছিল কৃতদাস, অর্ধেক নারী, গ্রিকরা বিশ্বাস করতো নারীদের আত্মা নেই। তাদের কোন কথা, কথা নয়। সুতরাং থাকলো ১ লক্ষ পুরুষ, আবার ১ লক্ষ থেকে যদি বাদ দিয়ে দেওয়া হয় শিশু-কিশোর, থাকলো ৫০ হাজার লোক, বহিরাগত ৫০ হাজার লোক। মাত্র ২০০ বছরে সৃষ্টি হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সভ্যতা গ্রিক সভ্যতা। আর গ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো প্রেরণা-স্বপ্ন দিয়ে।
মিনিয়ান প্রভুরা ভূমধ্যসাগরের এই অঞ্চলের বিভিন্ন দ্বীপে গড়ে তুলেছিলেন নিজেদের বিশাল সাম্রাজ্য। ক্রিস্টান, মাইসেনিয়ান, জেরিয়ান প্রভৃতি সংস্কৃতির হাতে ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে গ্রীক সভ্যতা। অবস্থানগত ও অন্যান্য সুবিধা থাকার কারণে এথেন্স হয়ে উঠে গ্রিস দেশের অন্যতম শহর। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের জন্ম এথেন্স নগরীতে।
জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাজ্য পরিচালনা করতেন। নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করতো না শাস্তিস্বরূপ তাদের মুখে লাল রং দেওয়া হতো।খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১-৪৫৫ পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে রাজ্য পরিচালনা করেন প্রেরিক্লিস। তার শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়। এ সময়ে এথেন্সের সৌন্দর্য সবচাইতে বেশি বিকশিত হয়। এই সময় নির্মিত হয় ইতিহাসের প্রসিদ্ধ পার্থন মন্দির। সেই যুগের পরপর জগৎ বিখ্যাত দার্শনিক, চিন্তাবিদ জন্মগ্রহণ করেন গ্রীসে।
সাহিত্যে আবির্ভাব হন এস্কাইলাস,সফোক্লি,ইউরিপিডিসের মতো যোগশ্রেষ্ঠদের । ভাস্কার্যে ফিডিয়স,ইতিহাসে থুকিডিডেস,হেরোডেটাস,দর্শনে পারমেনিডেস,জোনু এবং জগৎ বিখ্যাত সক্রেটিস আবির্ভূত হন সে যুগে। সক্রেটিসের যুগ্য শিষ্য পেসননটো তারই দর্শনের ভিতরে ঘরের ভিতরের উপর গড়ে তুলেন আদর্শ রিপাবলিকের থিসিস।প্রেরিক্লিস এর লেখা বই রিপাবলিক এখনো পৃথিবী জুড়ে পঠিত হয়।
প্রেরিক্লিস এথেন্স শাসন করতেন তখন ১৮ বছরের ছেলেরা রাষ্ট্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত করতেন তখন ১৮ বছরের ছেলেরা রাষ্ট্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সবার সামনে প্রতিজ্ঞা করতে হত এই মর্মে, আমার জন্মের সময় যে এথেন্স পেয়েছি মৃত্যুর আগে আরো উন্নত এথেন্স পৃথিবীর বুকে রেখে যেতে হবে। এটা ছিলো তাদের মুল চাবি-কাটি। যাহারা গ্রীসে অবস্থান করছেন তারা গৌরবের স্থানে বাস করছেন, গ্রীস দের রয়েছে একটি মহান আত্মা।সময়ের প্রেক্ষাপটে নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বপ্রথম আন্দোলন করেছিল এজন্য বলা হয় গ্রীস গণতন্ত্র ও নারীমুক্তির প্রতিচ্ছবি। ইউনেস্কো গ্রিসে পার্থ ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে। এথেন্স শহরের মাঝখানে আক্রোপলিস পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই পার্থেনন আসলে একটি প্রাচীন মন্দির। ডরিক শিল্পীতে তৈরি ৩১ মিটার চওড়া ৭০ মিটার লম্বা এবং ২০ মিটার উঁচু এই বিশাল মন্দির পুরোটা মার্বেল পাথরের। ৪৬টি বিশাল স্তম্ভের উপর ছিল ছাদ, যা বর্তমানে নেই। মন্দিরের মাঝখানে ছিল হাতির দাঁত, মূল্যবান কাঠ, এবং স্বর্ণের নির্মিত ১২মিটার উঁচু এথেনা দেবীর মূর্তি । সে মুর্তি এখন নেই। এথেনার নামে এই শহরের নাম এথেন্স। এথেনা ছিল বিদ্যা,বুদ্ধি এবং আধ্যাত্মিকতার দেবী, তবে প্রয়োজনে যুদ্ধ করতেন সমান দক্ষতায়। ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গ্রীস বিভিন্ন বিদেশি রাজ্যের অধিনে ছিল। তাই পার্থেনন কখনো গির্জা, কখনো মসজিদ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়েছে। গ্রীস যখন তুরস্কের অধিনে ছিল তখন তুর্কী সেনারা পার্থেননকে দূর্গ হিসেবে ব্যাবহার করে। ১৬৮৭ সালে যুদ্ধের সময় ব্রাহ্মণদের গুদামে আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। ফলে পার্থেননের অনেক অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে অটোমান সাম্রাজ্যের শাসক পার্থেননের অনেক ভাস্কর্য ও মুর্তি ইংরেজ রাজদূত লর্ড এলহিল এর কছে বিক্রি করে দেন। লর্ড এলহিল এগুলো জাহাজে করে নিয়ে যান। বৃটিশ সরকার তার কাছ থেকে সেইসব ভাস্কর্য কিনে বৃটিশ মিউজিয়ামে রেখে দেয়। তখন থেকে এগুলো বৃটিশ মিউজিয়ামে আছে। এলগিন মার্বেলস নামে খ্যাত। গ্রীস সরকার অনেক চেষ্টা করে সেগুলো আজ পর্যন্ত ফেরত আনতে পারেনি। সেগুলো দেখতে কেমন ছিল তা বুঝার জন্য কিছুকিছু মুর্তির নকল বানিয়ে বসানো হয়েছে। মন্দিরের পাশে রয়েছে দুটি প্রাচীন থিয়েটার। আক্রোপোলিস পাহাড়ের পাদদেশে নবনির্মিত মিউজিয়াম একটি বড় আকর্ষণ, আধুনিক শৈলীতে কাচ ও স্টিলে নির্মিত এই মিউজিয়ামের বিভিন্ন তলায় গ্রীক সভ্যতার বিভিন্ন সময়ের মুর্তি, ভাস্কর্য খোদাইকৃত শিল্প ইত্যাদি সাজানো। গ্রীক সভ্যতার অনেক জিনিস পৃথিবীর অন্যান্য মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। পার্থেনন মন্দির এবং সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলো নির্মিত হয় খ্রীস্টপূর্ব ৩২ থেকে ৪৪৭ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে। নকশা এঁকেছিলেন ইকতিপোস এবং কালিকার্তেস নামের দুজন মহান স্থপতি। ২০(বিশ) হাজার দক্ষ প্রকৌশলীর মেধা এবং ০৪(চার) লক্ষ কৃতদাসের শ্রমের বিনিময়ে নির্মিত হয়েছে গ্রীসের স্বপ্নসৌধ। শুধু আবেগ দিয়ে এরকম শিল্প নির্মাণ করা যায়না। চাই মেধা এবং শারিরীক সামর্থ্য। তাইতো পরবর্তীকালে পার্থেননকে সে যুগে মিলনের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ববাসী। সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ এথেন্সের বাহিরের একটি শহর নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি,
গ্রিসের একটি ঐতিহাসিক শহর
গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক বাকাকটো শহর যেখানে রয়েছে পাহাড়ের বেস্টনি, রাজার বাড়ী, ১৪৯৯ সালে নির্মিত প্রাচীন মসজিদ যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে গীর্জা ও ভূ-মধ্য সাগরের অপরূপ সৌন্দর্য। ৪৩ নাফপাক্টোর আশ্রয়স্থল নেপাক্টোসের বন্দর সব সময় শহরটির জন্য সমৃদ্ধির উৎস ছিল। ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে করিন্থয়ান গল্ফের প্রবেশদ্বারে লেপান্ডো যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, যখন ভেনিস জেনোভাতে যোগদানের সময়, স্পেন, পোপ ও অ্যালিসগুলি অটোমান নৌবহরকে পরাজিত করে। বন্দর প্রতিরক্ষা সংরক্ষণ করা দেয়ালগুলি মধ্যযুগীয় প্রতিরক্ষা স্থাপত্যের দর্শনীয় উদাহরণ, দুটো টাওয়ার (১-১১) এর প্রবেশদ্বারটি ভাসিয়ে দেয়, বন্দরের দেয়ালগুলো খিলান যুদ্ধ সমুদ্র গেইটটি ভেনেটিয়ান যুগের অন্তর্গত। অটোমানরা প্রাচীরের প্রাচীরগুলোকে শক্তিশালী করে দেয়। স্বাধীনতার পর ১৯ শতকের মধ্যে একটি কাস্টমাস অফিস শশ্চিমা কোয়ে পরিচালিত ১৮২১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়বা জি।
অ্যানোমোগিযানসিসের মূর্তি দাঁড়িয়েছে, যারা ন্যাফক্টোর বন্দরে অটোমান নৌপথে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল। ন্যাফপাটোস বন্দরে সর্বনিম্ন ৫টি কাসল। মহাসাগর পশ্চিমারা শহরটি প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহার করত। আশপাশের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে এন ভি ভি দেরী টাওয়ার ম্যানশন ১৪৯৯ সালে সুলতান Bayesid দ্বারা Fethiye মসজিদ প্রতিষ্টিত হয়। এখানে রয়েছে বাইজেন্টাইন গির্জা, সমুদ্র সমান্তরাল, উচু পাহাড়ের উপর ভিজির মসজিদ, তেজভেলা ঘর, অটোমান ফাউন্ডেশন, অটোমান ঝর্ণা, ঘড়ির টাওয়ার, রাজার বাড়ীসহ নানান স্থাপত্য যাহা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।করোনা পেক্ষাপটে গ্রিকরা বিশ্বের ইতিহাস হয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।