শাহ্ জালাল, ডেস্ক নিউজ ।।
মনিরামপুর থানার সামনে গত বুধবার এক মধ্য বয়সী মহিলা বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর হবে। সন্ধা প্রায় ৭টা চালের বাজারে একটি দোকানের শার্টার ঘেষে রাস্তায় ঘন্টা খানেক পড়ে যন্ত্রনায় কাতর ঐ মহিলাকে দেখে আতঙ্কিত লোকজন দূরে দাড়িয়ে থাকলেও ভয়ে কেউ পাশে অাসেনি কভিড-১৯ আক্রান্ত ভেবে। অবশেষে সংবাদ পেয়ে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত ছু্ঁটে এসে মনিরামপুর থানার এক এসআই ও সাংবাদিক সোহানের সহযোগীতায় হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিকে থানার আরেক এসআই ওই মহিলার পরিবারের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করে অসুস্থতার কথা জানিয়ে দেন। এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরপরই পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর মহিলা জানান, “শরিরটা ভলো লাগছিলো না, তাই ওষুধের দোকানে রক্তচাপ মাপতে আসছিলাম। তখন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। যতটুকু মনে পড়ে প্রায় ঘন্টা খানেক পড়ে ছিলাম কিন্তু কেউ পাশে অাসছিল না। এমন সময় ডাক্তার রিফাত অামাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ভুক্তভোগী ঐ মহিলার নাম সুফিয়া বেগম, স্বামী আজিবর শেখ, শ্বশুর বাড়ি নওয়াপাড়া, কিন্তু উনি বাবার বাড়ি জয়পুরে বসবাস করেন। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত বলেন আসলে আমাদের কভিড-১৯ নিয়ে এতো ভয় পাওয়ার কিছুই নাই। এই রোগ সচেতনতায় ও চিকিৎসায় ভালো হয়। কিন্তু আমরা যদি এভাবে ভয় পেয়ে মানুষ মানুষের পাশে এগিয়ে না আসি তাহলে মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। যেমন ধরুন এই মহিলা কিন্তু কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত না। ব্লাড পেশার লো থাকায় মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে ছিলেন এখন যদি কেউ এগিয়ে না আসতেন তাহলে তো বিনা চিকিৎসায় এই মহিলা মারা যেতেন। তাই আমাদের ইচিত করোনাভাইরাসেকে ভয় না পেয়ে আমাদের বেশি বেশি সচেতনতার প্রয়োজন।
ডা: মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাতের এমন মানসিকতার পরিচয় দেখে মনিরামপুর উপজেলাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।