ঢাকাসোমবার , ২৭ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা পরিস্থিতিতে দেখা মেলেনি বিগত সংসদ নির্বাচনে মণিরামপুর আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের

Tito
এপ্রিল ২৭, ২০২০ ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শাহ্ জালাল, ডেস্ক নিউজ।।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা সংসদীয় আসন নং ৮৯নং যশোরের মণিরামপুর-৫ গঠিত। যশোর জেলায় এই উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। এই উপজেলায় একটি পৌরসভা ছাড়াও ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে রয়েছে, মণিরামপুর,ভোজগাতি, চালুয়াহাটি, ঢাকুরিয়া, দুর্বাডাঙ্গা, হরিদাসকাটি, হরিহরনগর, ঝাঁপা, কাশিমনগর, খানপুর, খেদাপাড়া, কুলটিয়া, মনোহরপুর, মশ্বিমনগর, শ্যামকুড়, নেহালপুর, ও রোহিতা । এখানে ১৭ টি ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এর মধ্য পরিবার সংখ্যা লাখের কাছাকাছি। বিশেষ এক পরিসংখ্যান বলছে সচ্ছল ও ধনির তালিকা তুলনামূলক কম থাকায় এখন প্রায় ৫০ হাজারেও অধিক পরিবার নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত। যদের প্রত্যেক পরিবারে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু সেই তুলনায় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছেনা। যার কারণে এই জনপদে ত্রাণ নিয়ে চলছে হাহাকার। সরকারী বরাদ্দকৃত ত্রাণের বাইরে ত্রাণ দিচ্ছেন হাতে গোনা মাত্র দুই এক জন। এমন কি কোন চেয়ারম্যানও সরকারি বরাদ্দের বাইরে নিজেস্ব অর্থায়নে এগিয়ে আসতেও দেখা যায়নি।
একখ জনগণের দাবী গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের সেই বস কালের কোকিল গেল কৈ। তাদের প্রত্যকে এগিয়ে আসলে তো মনিরামপুরের মানুষের ত্রাণ নিয়ে আহাকার থাকত না। এমনকি এই জনপদে মানুষ প্রতিমন্ত্রীর প্রতিও সন্তুষ্ট নয়। কেন না তিনিও এখনও পৌছে দিতে পারেনি প্রতিটি পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী। এমনকি তার এক বছর মন্ত্রীত্ব কালেও মেলেনি তেমন উন্নয়ন। এই জনপদে ৬ লক্ষ মানুষের একটি হাসপাতাল সেখানেও পর্যাপ্ত ডাক্তার, বেড, চিকিৎসা সেবা এমন কি পর্যাপ্ত এম্বুলেন্স সার্ভিস নেই। সোশাল মিডিয়া খুললেই জনগণের এখন একটার দাবি গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের যারা প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দলীয় মনোনয়ন কিনে ছিলেন তাদেকে এই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জনগণের পাশে দেখতে চাই।
গত নির্বাচনে সংসদীয় আসন নং ৮৯ যশোর-৫ এ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আওয়ামীলীগ থেকে ১১ জন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট থেকে ৮ জন এবং জাতীয় পার্টি থেকে ২ জন।
এরা হলেন, আওয়ামীলীগ থেকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি অ্যাড. পীযুষকান্তি ভট্টাচার্য্য, তারই আপন ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য বর্তমান এমপি(প্রতিমন্ত্রী, প্রয়াত সাবেক এমপি অ্যাড. টিপু সুলতানের স্ত্রী ডাক্তার জেসমিন আরা বেগম, যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যশোর সিটি প্লাজার চেয়ারম্যান এসএম ইয়াকুব আলী, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান পৌর মেয়র অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কামরুল হাসান বারী, আরেক সাবেক নেতা যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা জয়দেব নন্দী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মাসুমা আক্তার পলি
বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ৮জন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র অ্যাড. শহিদ মোহাম্মদ ইকবাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মুছা, যশোর জেলা জামায়াতের নেতা অ্যাড. গাজী এনামুল হক, জাগপার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও যশোর জেলা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজামদ্দিন অমিত, যশোর নগর বিএনপির সভাপতি মুনির আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, যশোর জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার একেএম মেসবাহ-উর-রহমান ও যশোর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইফতেখার সেলিম অগ্নি।
এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে ছিলেন ২ জন। যশোর জেলার সভাপতি শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী ও মণিরামপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমএ হালিম।
মোট প্রার্থী সংখ্যা ছিল ২১ জন। কিন্তু এই কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আ.লীগ থেকে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য,
এস এম ইয়াকুব আলী, অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম ও বিএনপি’র উপজেলা সভাপতি শহীদ ইকবাল, সাবেক ছাত্রদলের নেতা ইফতেখার সেলিম অগ্নি এগিয়ে আসলে বাকিরা রয়েছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে।
এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রী পক্ষে মনিরামপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পদক ফারুখ হোসেনকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জনগনের পাশে দেখা গেলেও আশা অশানুরুপ দেখা মেলেনি আমজাদ হোসেন লাভলুর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।