বিশেষ প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে গোপালপুর বাজারে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা দোকানে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটানায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগিরা।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার ও স্থানীয়দের মারফত জানাযায়, করোনা ভাইরাসের কারনে লকডাউনে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার একটি সূনিদিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন। সে মোতাবেক উপজেলার গোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের বেধে দেয়া সেই সময়ে খোলা রেখে তাদের ব্যবসা করে আসছিল। কিন্তু কিছু অতিলোভী ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের পরও কিছু সময়ে দোকান খোলা রেখে বেঁচাকেনা করে আসছিল। এ সংবাদ দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কাছে পৌছুলে বুধবার তিনি গোপালপুর বাজারে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে তার পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশকে পাঠান। গ্রাম পুলিশেরা কয়েকজন অপরিচিত লোক সাথে নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে খোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে-সাথে কয়েকটি বন্ধ থাকা দোকান ভাংচুরসহ সন্ত্রাসী ডান্ডব চালায়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন, আনিস হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান মতি, আব্দুস সালাম, ফারুক, মামুন, গফুর মতব্বার, মাহমুদুল্লাহ, ইন্তাজ আলীর দোকানসহ ১০/১২টি দোকান ভাংচুরসহ চা জ্বালানো চুলা, কেটলি, চেয়ার-টেবিল, কাগজে মোড়ানো কেরামবোর্ডসহ বিক্রি লব্ধ জিনিসপত্র সহ আসবাবপত্র ছুড়ে ফেলে দেই। প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই জানান, ভাংচুরকৃত দোকানগুলো অধিকাংশ বন্ধ ছিল। এমনকি ভাংচুর থেকে বাদ পড়েনি বাজারের পশ্চিম মাথার ফারুক হোসেন ও মামুনের চায়ের দোকান। যদিও এ চায়ের দোকান দুটো গত ৪/৫ মাস যাবৎ এমনি বন্ধ থাকে। ফারুক রাজমিস্ত্রি হওয়ায় ৫ মাস যাবৎ দোকান বন্ধ রেখে সে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। তাছাড়া মামুন দোকান বন্ধ রেখে ৫মাস যাবৎ বর্তমান কৃষি কাজে ব্যস্ত।
বিষয়টি জানার জন্য য়োরম্যান মাজহারুল আনোয়ারের কাছে বার-বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ভাংচুর করা ঠিক হয়নি। যদি অন্যায় ভাবে কোন কিছু করে থাকে তবে বিষয়ে আমি দেখবো।