ঢাকাবুধবার , ৩ জুন ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের করা বিভ্রান্তকর মামলায় আটক ৮ ।। এলাকায় উত্তেজনা

Tito
জুন ৩, ২০২০ ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ।।
মণিরামপুরে একটি মৎস্য ঘেরের জমির মালিকদের কাছ থেকে লিজ নেয়াকে কেন্দ্র করে কুলটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়ের দায়ের করা বিভ্রান্তিকর মামলায় ৮ জনগন জেলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামী থাকায় নিরীহ জনগন পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এমনকি মহিলারাও বাড়িতে রাতদিন আতংকের মধ্যে রয়েছে।
জানা যায়, মশিয়াহাটির হাটগাছা-বাজেকুলটিয়া-সুজাতপুর বিলের একটি মৎস্য ঘেরের মালিকানা নিয়ে লিজ সূত্রে ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী শংকর রায় ও পদ্মনাথপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। এ ঘটনায় মৎস্য ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়ের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
গত সোমবার সকাল ১১ টার দিকে কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (পোড়াডাঙ্গা) দুপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীর দিন ছিল। কিন্তু এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান কোন সমাধান না করে শুনানী মুলতবি করে পরবর্তি তারিখ নির্ধারন করে। আর এ কারনে প্রায় ২ শতাধিক জমির মালিকদের একটি অংশ পরিষদের সামনে সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা এ সময় সঠিক বিচারের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্রকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এমনকি বিক্ষোভকারীরা চেয়ারম্যানকে শংকরের পক্ষ অবলম্বন করার দোষারোপ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সৈদয় বখতিয়ার হোসেনের নেতুত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রবঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের সংবাদ পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের কোন আলামত পায়নি। কিন্তু চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় ঘটনার দিনরাতেই তার দায়েরকৃত মামলায় পরিষদের জানেলা, দরজা ভাংচুর ও ত্রানের মাল লুট করার অভিযোগ এনে তার ইউনিয়নের নিরীহ ৮ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন।
গত মঙ্গলবার পুলিশ মামলার আসামী কুলটিয়া ইউনিয়নের পদ্মনাথপুর গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবি, বিল্লাল হোসেন, সুজাতপুর ও হাটগাছা গ্রামের সাবেক মেম্বর রাজ কুমার, সমরুনেন্দ, বিবেক, হেমকান্তি, মিঠুন ও কমলেশ মন্ডলকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। চেয়ারম্যানের বিভ্রান্তিকর এ সাজানো মামলা দায়ের ও আটকের ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তাছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন আসামী থাকায় নিরীহ জনগন পুলিশের হাতে আটকের ভয়ে একপ্রকার এলাকায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এমনকি বাড়ির মহিলারাও রাতদিন আতংকের মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার বিরোধপূর্ন ওই মৎস্য ঘেরে শংকর পক্ষের লোকজন মাছ ধরতে গেলে এলাকার মহিলা ধাওয়া দিলে জেলেরা পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় সুত্র জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নেহালপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই সৈয়দ বখতিয়ার হোসেন জানান, চেয়ারম্যান নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছে, বিধায় আমরা ৮জনকে আটক করে জেলে পাঠিয়েছি। পুলিশ দ্বারা নিরীহ কোন মানুষ হয়রানী হবে না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।