ঢাকারবিবার , ১৪ জুন ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করোনা আতঙ্কের মধ্যে মণিরামপুরে কিস্তি ও হালখাতার চাপ ।। মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ

Tito
জুন ১৪, ২০২০ ১০:১৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তাজাম্মূল হুসাইন, মণিরামপুর থেকে।।
প্রাণঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাসের ধকল কাটিয়ে উঠার আগেই মণিরামপুরে এনজিও ঋণের কিস্তি আদায় ও হালখাতার হিড়িক পড়েছে। ব্যবসা বানিজ্যে সীমিত পরিসরে প্রতিষ্ঠান খোলায় এনজিও’র কর্মীরা বাড়ীতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছেন এবং কিস্তির টাকা দিতে না পারলে চাপ দিচ্ছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কর্মহীন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, করোনার প্রাদুর্ভাবে ও লকডাউনের কারণে মানুষ কর্মহীন পয়ে পড়ে। তারপরও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করেছে এনজিও গুলো কিস্তি আদায় কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা শুরু করেছে হালখাতার প্রতিযোগিত। ঘরে ঘরে চলছে হালখাতা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য রয়েছে চাপ। জুনের মধ্যেই বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুৎ বিল দিতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা মহামারী শুরুর পর এমনিতেই উপার্জন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। তার ওপর এনজিও’র কিস্তি তাদের কাছে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, কখনও মোবাইল ফোনে, কখনও বাড়িতে গিয়ে কিস্তি পরিশোধের জন্য গ্রাহককে নানাভাবে চাপ দিয়ে হয়রানী ও হুমকী দিচ্ছেন এনজিওগুলোর মাঠকর্মীরা। সুদের হার বৃদ্ধি পাবে মর্মে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক, সিসিডিবি, টিএমএসএস, উদ্দীপন, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, আদ্-দ্বীন, আশা, আরআরএফ, অগ্রগতি, নবলোক, সমাধান, বুরো বাংলাদেশ, অগ্রজসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্তৃপক্ষ। এসব এনজিও’র মধ্যে বেশি কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন আদ্-দ্বীন, ব্র্যাক, সমাধান, আরআরএফ, বুরো বাংলাদেশ, উদ্দীপন ও অগ্রগতি। ফলে নিরুপায় হয়েই মানুষ ধারদেনা করে অতিকষ্টে এনজিও’র কিস্তি দিতে হচ্ছে ঋণগ্রহীতাদের। এরপরও অল্পসংখ্যক সদস্য সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে না পারলেও দু-একদিন পরই কিস্তি আদায় করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ইজিবাইক চালক, ভ্যান চালক, ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালকরা যাত্রী পাচ্ছেন না। বাজারেও জনসমাগম কমছে। ছোট খাট দোকানীদের বেচাবিক্রয় নেই বল্লে চলে। দিন মজুরদের কাজে নিচ্ছেন না অনেকে। কিন্তু এ উপজেলার করোনা আতংকিত হয়ে মানুষের পিছু ছাড়ছে না বিভিন্ন এনজিও’র কর্মীরা। কর্মীদের নেই কোন করোনা সরঞ্জম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মীরা বাড়িতে যেয়ে কিস্তি আদায় করছেন।
রাজমিস্ত্রি মুক্তার হোসেন, ভ্যান চালক আজাহার আলী বলেন, করোনার কারণে কাজ কাম নাই। তারপরও এখন কিস্তির চাপের পাশাপাশি চলছে হালখাতার বাড়তি চাপ। সংসার চালানোই হিমসীম খেতে হচ্ছে তারপরও এ সব চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
চা বিক্রেতা আরশাদ আলী বলেন, করোনার শুরু থেকেই চায়ের দোকান বন্ধ। সামান্য সরকারী সহযোগিতা পেলেও সংসার চালানো এখন কষ্টকর। তাই লকডাউন না থাকায় এখন দোকান খুলতে শুরু করেছি। তবে ওয়ান টাইম গ্লাসে চা বিক্রি করতে বাড়তি টাকা নিতে পারছি না।
মুদি দোকানী রেজাউল ইসলাম বলেন, মহাজনদের দোকানে বাকী থাকার কারণে এখন হালখাতা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। এ কারণে ব্যবসায়ীরা হালখাতার উপর ঝুকছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।