ঢাকাসোমবার , ১৫ জুন ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কলেজ ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৪ সদস্য ক্লোজড

Tito
জুন ১৫, ২০২০ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ।।
কলেজ ছাত্রকে নির্যাতন ও ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার কারণে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৪ পুলিশকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এই আদেশপত্র ফাঁড়িতে পাঠানো হয়। ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন সাজিয়ালী ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আনিসুর রহমান, এএসআই সুমারেশ সাহা, এএসআই সারজার রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল ফারুক। সবাইকে যশোর পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে।
আদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে প্রশাসনিক কারণে তাদের ক্লোজড করা হয়েছে। তবে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে কলেজ ছাত্র ইমরানকে নির্যাতন ও ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার কারণে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকালেই সাজয়ালী ফাঁড়িতে ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেছেন কেশবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই কামরুজ্জামান। এসআই কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, ৪ পুলিশ সদস্য ক্লোজড হওয়ার কারণে উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে আমি এখানে যোগদান করেছি।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ক্লোজড হওয়া এসআই মুন্সি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, এক কলেজছাত্রকে নির্যাতন এবং ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠে ফাঁড়ির দুইজন এএসআই ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনার রাতে আমি জরুরি কাজে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ছিলাম। তারপরেও ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে ওই দুইজন এএসআই ও কনস্টেবলের সাথে আমাকেও পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। যশোর জেলা পুলিশ প্রশাসনের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জসহ ৪ জনকে ক্লোজড করা হয়েছে। ক্লোজের নেপর্থ্যে অন্য কোন কারণ আছে কিনা প্রশ্ন করলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তবে যশোর পুলিশের আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, কলেজছাত্রকে নির্যাতন ও ঘুষবাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার কারণে তাদের উপর বেজায়ভাবে চটেছেন এসপি। যদিও তদন্তে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা মেলেনি। তারপরেও ওই ৪ জনকে ক্লোজড পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার শাহাবাজপুর গ্রামের নিকার আলীর ছেলে কলেজ ছাত্র ইমরান হোসেনকে গত ৩ জুন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ধাওয়া করে নিয়ে স্থানীয় সাজিয়ালী ক্যাম্পের পুলিশ নির্যাতন করে। এএসআই সুমারেশ সাহা ও এএসআই সাজদার রহমানসহ ৬ পুলিশ সদস্য তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। নির্যাতনে তার দুটি কিডনি বিকল হয়ে হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এই ঘটনায় ৯ জুন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক-সার্কেল গোলাম রব্বানীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
কমিটির অন্য দু কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান ও পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআই-ওয়ান ইনসপেক্টর মশিয়ুর রহমান। ১২ জুন পুলিশ সুপারের কাছে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্তে কমিটি ওই ছাত্রকে পুলিশ নির্যাতনের কোন সত্যতা পাননি। তবে গাঁজাসহ আটকের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি সত্য। আর ঘুষ গ্রহণের যে অভিযোগ রটানো হয়েছে তা আরো তদন্ত করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করা হয়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।