ঢাকারবিবার , ১২ জুলাই ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে উত্তেজিত মুছল্লিরা

Tito
জুলাই ১২, ২০২০ ৭:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্পেশাল করেসপনডেন্ট।।
মণিরামপুরের ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে কমিটির নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মুছল্লিদের অব্যহত প্রতিবাদের মধ্যে এবার সভা বর্জন করেছেন কমিটির সদস্যরা। ৩৩ বছর যাবত একই ব্যাক্তি সভাপতি পদে থেকে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পুরো কমিটিতে ছেলে, ভাইপো, ভাগ্নেসহ অনুসারী বহিরাগতদের দিয়ে আত্মীয় করন, যথেচ্ছা ঈমাম বহিস্কার ও নিয়োগসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে মসজিদের নিয়মিত মুছল্লিসহ এলাকাবাসী। এনিয়ে দিনদিন মুছল্লিদের মাঝে বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তেজনা।
জানাযায়, গত বুধবার জোহরের নামাজ শেষে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ১৯৮৭ সাল থেকে একক সভাপতি থাকা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। ওই মিটিং চলাকালিন বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে মিটিং বর্জনকরেন অবসরপ্রাপ্ত উদ্ভীদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন মেল। তিনি জানান, মসজিদে পূর্বের ইমামকে অব্যহতি এবং নতুন ইমাম ও সদস্য নিয়োগের ব্যাপারে সভাপতির সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ কথা বলতে পারবেননা। সে কারণে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে মিটিং বর্জন করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসেন। কয়েকজন প্রবীণ সদস্যের মৃত্যুতে কমিটির সম্মিলিত মতামত ছাড়াই ইতিমধ্যে সভাপতির পুত্র মাওলানা রশীদ আহম্মেদ ও ভাগ্নে আতিয়ার
রহমানসহ কয়েকজনকে মসজিদ কমিটির নতুন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে। যাদেরকে নতুন সদস্যপদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মসজিদের খতিব ছাড়া অন্যরা কেন্দ্রীয় মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিহ নন। মসজিদের এক সাবেক সদস্য বলেন, সভাপতির কাছের লোক হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মোল্লা কর্তৃক মসজিদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সভাপতি কোন পদক্ষেপ নেননি।
এছাড়া, মুসল্লিহদের কোন মতামত ছাড়াই কমিটির অনিয়ম কার্যক্রমসহ নানা কারণে তিনিও মসজিদ কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। দীর্ঘকাল ধরে যারা সভাপতির সিদ্ধান্তের সময় এক প্রকার বোবা হয়ে থাকবেন এমন ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গত রমজান মাসে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই দীর্ঘদিন ইমামের দায়িত্বে থাকা মুফতি মাসউদুর রহমানকে অপমান-অপদস্ত করে অব্যহতি দেয়া হয়। এতে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন মসজিদের অধিকাংশ প্রবীণ মুসল্লিহরা। এক পর্যায় মুসল্লিহদের মতামত নিয়ে মসজিদের কমিটি গঠন করতে হবে এমন দাবীতে জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে মুসল্লিহরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করতে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে মসজিদের বিভিন্ন পর্যায়ের মুসল্লিহরা গণস্বাক্ষর করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এবং থানায় লিখিত আবেদন করেন।
এদিকে মিটিং- এ অংশ নেবেননা এমন উক্তি জানিয়ে রেজ্যুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করেননি একই কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম।
কেন্দ্রীয় মসজিদের মুুসল্লিহ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, আল্লাহর ঘর মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের জায়গা। কিন্তু মুসল্লিহদের মতামত ছাড়াই কমিটি গঠন ও তার অনিয়ম কার্যক্রম চলমান থাকার কারণে মুসল্লিহদের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস জানান, পূর্বের ইমামকে অব্যহতি ও নতুন ইমাম নিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যকর করা হয়েছে। মুসল্লিহদের মতামত নিয়ে কমিটি গঠনের দাবীতে গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত আবেদন ইউএনও বরাবর দাখিল করে মসজিদের মুছল্লিগণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।