ঢাকামঙ্গলবার , ১১ আগস্ট ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন ক্লাস

Tito
আগস্ট ১১, ২০২০ ৫:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্পেশাল করেসপনডেন্ট।।
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় চারমাস যাবত বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া কিছুটা হলেও পুষিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় যশোরের মনিরামপুরে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ প্রথমধাপে মণিরামপুরের ১২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দক্ষ শিক্ষকদের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস নেয়া শুরু হয়েছে। নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে ঘরে বসে মোট শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সুফল পাচ্ছে। ফলে বর্তমান জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা। জানাযায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অর্ধবার্ষিকী সহ সকল পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। যেকারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সরকারি আদেশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মণিরামপুরে শুরু করা হয়েছে অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানান, মণিরামপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে ২০৪ টি। এর মধ্যে মাধ্যমিক ১২০, মাদ্রাসা ৬৯ এবং কলেজ রয়েছে ১৫ টি। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে আইসিটিতে দক্ষতা যাচাই-বাছাই করে প্রথম ধাপে নির্ধারন করা হয়েছে ১২০ টি (স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা) প্রতিষ্ঠান। আর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়ে শুরু করা হয়েছে অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র জানান, নানা প্রতিকুলতার কারনে যাচাই-বাছাই করে প্রথমধাপে ১২০ টি প্রতিষ্ঠানের আইসিটিতে দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষকদের দ্বারা নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাসের জন্য কারিগরি সহযোগীতা করতে আইসিটির ১১ জন মাষ্টার ট্রেইনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব মাষ্টার ট্রেইনারগন শিক্ষকদের কারিগরি সহযোগীতা করে চলেছেন। আর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাস তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার মাসুদ হোসেন। মাসুদ হোসেন জানান, কোন কোন শিক্ষক নির্ধারিত বিষয়ের ওপর ক্লাস রেকর্ডিং করে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে আপলোড করছেন। অবার কোন কোন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে লাইভের মাধ্যমে ক্লাস নিচ্ছেন।
স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীরা সামর্থ অনুযায়ি স্মার্টফোন, কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন। তবে ইচ্ছাথাকা সত্বেও অনেক শিক্ষার্থীরা পরিবারের অর্থনৈতিক অনটনের কারনে প্রয়োজনীয় উপকরন ক্রয় করতে অথবা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা অনলাইন ক্লাসের সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে স্বচ্ছল এবং সচেতন পরিবারের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অনলাইন ক্লাশে অংশ নিয়ে বেশ সুফল পাচ্ছে। তবে তার সংখ্যা খুবই সীমিত। মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান জানান, প্রতিদিন সে ঘরে বসে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিয়ে বেশ সুফল পাচ্ছে। আবার দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র জোবায়ের হোসেন জানান, প্রবল ইচ্ছাথাকা সত্বেও উপকরন না থাকায় তার পক্ষে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। অপরদিকে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক অভিভাবক জানান, অর্থনৈতিক অনটনের কারনে তার পক্ষে ছেলেকে এখন স্মার্টফোন দেয়া দুরুহ হয়ে পড়েছে। সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম জানান, তারা বিদ্যালয়ের নামে স্যোসাল মিডিয়াতে আইডি বা পেজ খুলে সকল বিষয়ে নিয়মিত ক্লাস আপলোড দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন সকল প্রতিষ্ঠানের নামে পেজ খুলে অনলাইন ক্লাস আপলোড দিলে শিক্ষার্থীরা বাড়েতে বসেই ক্লাস করতে পারবে। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, নানা প্রতিকুলতা সত্বেও বাছাই করে ১২০ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রথমধাপে অনলাইন ক্লাশের আওতায় আনা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সকল মাষ্টার ট্রেইনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার সভা (অনলাইনে)করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নানাপ্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া পুষিয়ে দিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।