ঢাকাশনিবার , ১৫ আগস্ট ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোর হত্যার ঘটনায় ৫ কর্মকর্তাকে আটক

Tito
আগস্ট ১৫, ২০২০ ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

স্পেশাল করেসপনডেন্ট।।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি ৩ কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা এবং আরো অন্তত ১৫ জনকে বেদম মারপিটের ঘটনায় ৫ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারি তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান এবং ফিজিক্যাল এন্সট্রাক্টর শাহানুর ও ওমর ফারুক।
বৃহষ্পতিবার কেন্দ্রে যে ঘটনা ঘটে তাতে প্রাথমিক ভাবে চুলচিরা বিশ্লেশন করে এই ৫ জনকে দায়ী হিসাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন একথা জানান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। অনেকের সাথে কথা বলেছি-তাতে বিষয়টি পরিষ্কার, আটক এই ৫ জন দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাদের দায়িত্ব নিতেই হবে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, সেন্সলেস না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডেকে নেয়া কিশোরদের মারপিট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কয়েক কর্মকর্তা। মারপিটের সাথে জড়িত ৭/৮ জন বন্দি কিশোরও জড়িত বলে পুলিশ সুপার বলেন, আপনারা জানেন এখানে যারা বন্দি আছে এদের অনেকেই হত্যা ও ধর্ষণেরমত ঘটনার সাথে জড়িত। সংশোধিত হওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন এখানে আছে।
এদের একটি গ্রুপের সাথে কর্তিৃৃৃৃপক্ষের ভাল সম্পর্ক হয়ে যায়। কর্মকর্তাদের অনুগত এই গ্রুপ দিয়েই ১৩ বন্দি কিশোরের উপর নির্যাতন চালানো হয়। সেই ৭/৮ জন কারা তা তদন্ত করে বের করা হবে। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় যে মামলা করা হয়েছে তা তদন্ত করবেন চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান। ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কেন বন্দি কিশোরদের উপর নির্যাতন চালানো হলো জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ৩ আগস্ট কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তা কর্মী নুরুল ইসলাম কয়েকজন কিশোরকে তার মাথার চুল কেটে দিতে বলেন. কিন্তু তারা তা দেয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নুরুল ইসলাম কয়েক কিশোরের বিরুদ্ধে মাদক সেবন করার অভিযোগ দেন কেন্দ্রের পরিচালকের কাছে। এই অভিযোগ করায় ঐ কিশোররা ক্ষুব্ধ হয়ে নুরুল ইসলামকে মারপিট করে।
এরপর কেন্দ্রের কর্মকর্তা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হন ১৩ কিশোর নুরুল ইসলামের মারপিটের সাথে জড়িত। বৃহষ্পতিবার দুপুরে কর্মকর্তারা ওই ১৩ কিশোরকে তাদের কাছে ডেকে নেন। সেই সাথে ডেকে আনেন তাদের অনুগত ৭/৮ বন্দি কিশোরকে। তাদের দিয়েই ওই ১৩ কিশোরকে মারপিট করা হয়। হাত পা বেধে মুখে গামছা ভরে দিয়ে তাদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়।নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এমনো ঘটনা ঘটেছে একজনকে জানালার ভিতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে অপর পাশ থেকে দু’জন তাকে টেনে ধরে রাখে। এরপর পা থেকে কোমর পর্যন্ত বেদম পেটানো হয়। কর্তৃপক্ষের কয়েক জনের নির্দেশনা ছিল, সেন্সলেস না হওয়া পর্যন্ত পেটানোর। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে এমন অভিযোগও আমরা পেয়েছি।
পুলিশ সুপার বলেন, তাদের আটক করা হয়েছে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। এরপর রিমান্ড আহবান করা হবে। মনজুর হলে ঘটনার ব্যাপারে আরো তথ্য জানাযাবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম,অতিরিক্ত পূলিশ সুপার (ক) সার্কেল গোলাম রব্বানী এবং পুলিশ কর্মকর্তা সদস্য৷

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।