ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে আলোচিত চাল কান্ডে ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল

Tito
অক্টোবর ১, ২০২০ ৮:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুর প্রতিনিধি।।
মণিরামপুরে আলোচিত চাল কান্ডে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহষ্পতিবার জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পুদর্শক অফিসার ইনচার্জ ও তদন্তকারী অফিসার সোমেন দাশ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদনে চাল পাচারের ঘটনার ঘটনার স্থল, বাদী, স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ, সোর্সের তথ্য ও আটকদের স্বীকারুক্তি মোতবেক তন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলো এজাহারভূক্ত আসামী মণিরামপুর পৌর এলাকার বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত: লুৎফর রহমানের পুত্র মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০) এবং (২) ট্রাক ড্রাইভার খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা গ্রামের সাহেবপাড়া এলাকার রতন হালদারের পুত্র ফরিদ হালদার।
তদন্তপ্রাপ্ত আসামী মণিরামপুর পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলাইমান মোড়লের পুত্র শহিদুল ইসলাম, জুড়ানপুর গ্রামের রবিন দাসের পুত্র জগদীস দাস (৪২), জুড়ানপুর গ্রামের একুব্বার মোড়লের পুত্র উপজেলা যুবলীগনেতা মোঃ কুদ্দুস এবং হাকোবা গ্রামের মণিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু।
আসামী আব্দুলাহ, ড্রাইভার ফরিদ, শহিদুল, জগদীস ও কুদ্দুস গং অসৎ পন্থা অবলম্বন করে ত্রানের সরকারী চাল ক্রয়-বিক্রয়ে সার্বিক সহায়তা করা এবং আসামী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর ২৫(১)/২৫(২)-ডি ধারায় অপরাধ প্রাথমিক প্রতীয়মান হয়, আদালতে এমনি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য মণিরামপুর থানা পুলিশ পৌর এলাকার বিজয়রামপুরে ভাই ভাই রাইস মিল এন্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে কাবিখার ৫৪৯ বস্তা চাল জব্দ করে। এ সময় চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদার হাতেনাতে আটব হয়। সেখানে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ উপস্থিতিদের সামনে চাল পাচারের ঘটনায় সরকারী কর্মকর্তাসহ চাল বেচাকেনা সিন্ডিকেটের সদস্য কুদ্দুস, শহিদুল ইসলাম, অষ্টম দাস, জগদীশ দাস, দেবাশীষ দাসসহ জড়িত অনেক কুশিলবদের নাম প্রকাশ করেন।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম তার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু চাল পাচারের ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ মিডিয়ায় তোলেন। অথচ পুলিশ বাদি হয়ে শুধুমাত্র চাতাল মালিক মামুন ও ট্রাকচালক ফরিদের নামে মামলা করে। পুলিশ ৫ এপ্রিল মামুন ও ফরিদকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ড শেষে ৭ এপ্রিল তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। ২১ এপ্রিল যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে সরকারি চাল আটক হবার পর পরই সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্নাকে খুলনায় বদলি করা হয়। মামুনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশের একটি টিম পৌরশহর থেকে সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরে শহিদুল ইসলাম ও জগদীশ দাস আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় তার সাথে জড়িত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও পাতন-জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা আব্দুর কুদ্দুস।
আটক জগদীশ দাস আদালতে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ওই চাল বিক্রির সাথে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও যুবলীগ নেতা আব্দুর কুদ্দুস জড়িত। তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
এরও আগে আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। মামুনের মতো জগদীশও আদালতকে জানিয়েছে-আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে তিনি সরকারি ৫৪৯ বস্তা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ট্রাক চালক ফরিদের ট্রাকের মাধ্যমে চাল ডেলিভারি দেয়া হয়। এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ৩০ মার্চ চাল বিক্রির টাকা মামুনের কাছ থেকে নিয়ে নেন। চাল বিক্রির স্থান শাহিদুল ইসলাম নামে এক ভাই দেখিয়ে দিয়েছিল বলে তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।