ঢাকাশনিবার , ১৭ অক্টোবর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যশোরের দুঃখ খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

Tito
অক্টোবর ১৭, ২০২০ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

রিপন হোসেন সাজু, মণিরামপুর থেকে।।
ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জোয়ারাধার (টিআরএম) চালুর দাবীতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ মানববন্ধন করেছে । যশোর মশিয়াহাটীতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়ে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী স্থায়ী হয়।
যশোরের জলাবদ্ধ জনপদ ভুক্তভোগী বাসিন্দারা এসময় জানান, মাটির ঘর ডুবে গিয়ে জল চালে উঠে গিয়েছে। আর যা কিছু ছিলো সব এখন পানির নিচে। পানি না সরালে এভাবে আর জীবন চলে না। বহু মানুষের দুর্গতি অনেক সময় ২/১জন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য অর্থপ্রসূ বিষয় হয়ে দাঁড়িযেছে। তাঁরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেই দুর্দশার অবসান তো চায়ই না বরং সেটিকে যথাসম্ভব প্রলম্বিত করার চেষ্টা করেন। সুবিধাপ্রাপ্ত সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কারণে নির্বল দুর্দশাগ্রস্তদের দুঃখের তিমির শেষ হয় না। এই মনুষ্যলালিত সুদীর্ঘ দুর্দশার নির্মম ছবি যশোরের ভবদহ অঞ্চলের মানুষ দেখে আসছে।

যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে এই অঞ্চল। সেখানে ছোট-বড় ৫৪টি বিল আছে। এ অঞ্চলের পানি ওঠানামার পথ মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী। কিন্তু সব নদীই কমবেশি ভরাট হয়ে বিলের চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষায় নদীর পানি বিলে ঢুকে সব তলিয়ে যায়। এবার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রতিবছরই নদী খননসহ নানা প্রকল্প নেয় সরকার। গত ৪/৫ বছরে ভবদহে খনন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভবদহ অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীর পানি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৪টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার পাইলট চ্যানেল খননকাজ হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর কোনো উপকার হয়নি।
এরই মধ্যে প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প নিয়েছে । ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ নামের এই প্রকল্পে ৬২টি নদী ও খাল পুনঃখনন, খালের ওপর ১৯টি কালভার্ট নির্মাণ, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ এবং ২০টি স্লুইসগেট নির্মাণ ও সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা বলছেন, কয়েক বছরে ভবদহের খনন প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পুরো টাকাই পানিতে গেছে। নতুন করে ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্পে মন্ত্রী, সাংসদ, ঠিকাদার ও ব্যক্তিবিশেষের বড় আকারে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হবে, ভবদহের জলাবদ্ধতা দূর হবে না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।