ঢাকাসোমবার , ৩০ নভেম্বর ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ধলিগাতী আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সনদ সরবরাহের অভিযোগ

Tito
নভেম্বর ৩০, ২০২০ ১২:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুর প্রতিনিধি॥
যশোরের মনিরামপুরে ধলিগাতী-সুন্দলপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম এ ওয়াদুদের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধন সার্টিফিকেট সরবরাহের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরবি প্রভাষক ফিরোজা খাতুনের অভিযোগ নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ না নিলেও অধ্যক্ষ ওয়াদুদ ৮০ হাজার টাকার বিনিময় তাকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট সরবরাহ করেন। আর এ নিবন্ধন সার্টিফিকেটেই অধ্যক্ষ ওয়াদুদ তার মাদ্রাসায় ফিরোজা খাতুনকে আরবি প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। সে মোতাবেক ফিরোজা খাতুন দীর্ঘ সাত বছর ধরে চাকুরি করে আসছেন। কিন্তু পরবর্তিতে ফিরোজা খাতুনসহ সংশ্লিষ্টরা জানতে পারেন অধ্যক্ষের সরবরাহকুত সার্টিফিকেটটি জাল। তার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, উপজেলার সুন্দলপুর গ্রামের ইজাহার আলীর মেয়ে ফিরোজা খাতুনের স্থানীয় এক মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু বিধিবাম। স্বামীর সংসারে বেশি দিন টিকতে পারেননি তিনি। তালাক প্রাপ্ত হয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। উচ্চ শিক্ষিত(কামিল পাশ) হয়ে পিতার সংসারে বোঝা হয়ে থাকতে চানননি তিনি। তাই নিজের পায়ে দাড়ানোর স্বপ্নে চাকুরি খুজতে থাকেন । আর এ সুযোগে ধলিগাতী-সুন্দলপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম এ ওয়াদুদ তাকে আরবি প্রভাষক পদে চাকুরির লোভ দেখায়। আর এ জন্য তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয় ডোনেশন বাবদ মাদ্রাসার নামে ১২ শতক জমি এবং দুই লাখ টাকার। সে মোতাবেক ফিরাজা খাতুনের পিতা ১২ শতক জমি রেজিষ্ট্রির পর এক লাখ ৮৫ হাজার টাতা তুলে দেন অধ্যক্ষ ওয়াদুদের হাতে। আরবি প্রভাষক চাকরি করতে কামিল পাশের পাশাপাশি নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হয়। সে ক্ষেত্রে ফিরোজা খাতুন কামিল পাশ করলেও তিনি কখনও নিবন্ধন পরীক্ষা দেননি। কিন্তু ফিরোজা খাতুনের অভিযোগ অধ্যক্ষ ওয়াদুদ ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট সরবরাহ করেন।
তাকে চাকুরি দেওয়ার জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল যশোর এমএম কলেজে নিয়োগবোর্ডের আয়োজন করা হয়। ওই বোর্ডে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন ফিরোজা সহ চারজন প্রার্থী। এর মধ্যে প্রথম করে ফিরোজাকে আরবি প্রভাষক পদে চাকুরি দেওয়া হয়। ফিরোজা খাতুন নিয়োগপত্র পেয়ে ৫ মে মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। সেই থেকে তিনি চাকুরি করে আসছেন। ফিরোজা খাতুন জানান, ২০১৬ সালে মন্ত্রনালয় থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে অডিটে আসলে তার নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি ভূয়া(জাল) বলে বিবেচিত হয়। আর এ বিষয়টি জানার পর জাল সার্টিফিকেট সরবরাহের প্রতিবাদে ফিরোজা অধ্যক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ওয়াদুদ তাকে অভয় দেন এতে কিছু হবেনা। সবকিছুই তিনি ঠিক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতী দেন তাকে। সে আশায় ফিরোজা খাতুন এখনও চাকুরি করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি সরকার দেশব্যাপী নিবন্ধন সনদ যাচাইবাছাই শুরু করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে ফিরোজা খাতুনের নিবন্ধন সনদটি আবারও জনস্মমুখে এসেছে। তবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএস এ ওয়াদুদ(বর্তমান সুপারের স্কেলে এমপিওভূক্ত) ফিরোজার জাল সার্টিফিকেট সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেননা। তবে মাদ্রাসার নামে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে গভর্নিংবডির সভাপতি আবদুর রশিদ জানান, নিয়োগের সময় তিনি জানতেননা ফিরোজার নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান, ভূয়া নিবন্ধন সনদে ফিরোজা খাতুন কোনদিন এমপিওভূক্ত হবেননা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।