1. admin@manirampurprotidin.com : admin :
  2. hnurul146@gmail.com : nurul :
  3. titonews24@gmail.com : Tito :
শিরোনাম :
অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের ভার্চুয়াল সাধারণ সভা অনুিষ্ঠত : অভিষেকের প্রস্তুতি হাইকোর্টের নির্দেশে কেশবপুরে অবৈধ “রোমান ব্রিকস” ভেঙ্গে দিল প্রশাসন মাদ্রিদে হবিগঞ্জবাসীর মিলন মেলায় মুখরিত লাভপিয়েছ মণিরামপুরের জুড়ানপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাঁধা মালিতে জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৩৯ জন শান্তিরক্ষী কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মণিরামপুরে সাংবাদিক পুত্র মাহির গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ মণিরামপুরে ইকবালকে কমিটি গঠন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ : রোহিতার আহ্বায়ক বহিষ্কার মণিরামপুরে ২দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার শুভ উদ্বোধন মণিরামপুরে গ্রাম ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর হাতে পঁচন ।। আদালতে মামলা

মণিরামপুরে দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলের খোঁজ পেয়েও কাছে পেলেন না বৃদ্ধা মা

  • আপডেট: সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৩১ দেখেছেন

রিপন হোসেন সাজু, মণিরামপুর থেকে।।
দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলের খোঁজ পেয়েও কাছে পেলেন না বৃদ্ধা মা জয়গুন্নেছা। দশ বছর পর পাবনা মানসিক হাসপাতালে থাকা রোগীদের নিয়ে ইউটিউবে করা এক অনুষ্ঠানে, ছেলেকে দেখে ফিরে পাওয়ার আশা জেগেছিলো মায়ের। কিন্তু সেখানে গিয়ে ইউটিউবে দেখা ছেলের কোন সন্ধান পাননি বৃদ্ধা মা। কে ওই ছেলেক ভর্তি করেছিলেন এবং কত তারিখে তাকে রিলিজ করা হয়েছে-্এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি সেখানে। এমনকি হাসপাতালের ভর্তি এবং রিলিজ রেজিস্ট্রেশন বইয়ের পৃষ্টা তন্ন তন্ন করে খুজেও পাত্তা মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতায় সেখানে জাকারিয়ার সন্ধান মেলেনি বলে, স্বজনদের অভিযোগ।
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের কওছার আলীর ছেলে, মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া জাকারিয়া হোসেন মানসিক, ভারসাম্যহীন হয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়। ছেলে হারানোর পর আত্বীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুজির পরও সন্ধান পাননি। ছেলে হারানোর ব্যাথা বুকে পাথর চেপে রেখে ছিলেন, বৃদ্ধা মা জয়গুন্নেছা। ছেলে একদিন ফিরে আসবে এ আশায় এখনো পথপানে চেয়ে থাকেন আর শাড়ির আঁচলে চোখের পানি মুছেন বৃদ্ধা মা।
সরেজমিন ওই বাড়িতে গেলে জাকারিয়ার বৃদ্ধা মা জয়গুন্নেছার, সাথে কথা হয়। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার দুই ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে ছোট জাকারিয়া, ছোট কাল থেকেই মেধাবী। সব ক্লাসে প্রথম হতো। স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনিতে পড়াকালিন জাকারিয়াকে ভর্তি করা হয়, পাশের গ্রামের একটি দাখিল মাদ্রাসায়। সেখানে পড়াকালিন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে জাকারিয়া। ডাক্তার-কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েও কোন ফল আসেনি। হঠাৎ একদিন কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয় জাকারিয়া। পরে আত্বীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খুজেও ছেলে জাকারিয়ার সন্ধান পাননি। এভাবে গত দশ বছর ছেলে হারানোর ব্যাথা বুকে পাথর চাপা দিয়ে রেখে ছিলেন মাসহ স্বজনরা।
এ মাসের প্রথম দিকে তাদের এক আত্বীয় ইউটিউব চ্যানেলে জাকারিয়াকে গান গাইতে দেখেন। যা ছিলো পবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জীবনের গল্প নিয়ে করা অনুষ্ঠান। এ সূত্র ধরে গত ৬ ডিসেম্বর বৃদ্ধা মা জয়গুন্নেছা তার মেয়ে ফতেমাকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান। হাসপাতালেল সংশ্লিষ্ট জায়গায় ছবি দেখিয়ে জাকারিয়ার সন্ধান চান। এসময় রেন্ট কালেক্টর ( রোগী ভর্তি, রিলিজ ও কেবিন ভাড়ার দায়িত্বে) নজর”ল ইসলামের শরনাপন্ন হন তারা। নজর”ল ইসলাম ছবি দেখে রেজিস্ট্রেশন বইয়ের পৃষ্টা উল্টিয়ে ইউটিউবের ওই অনুষ্ঠানের অন্যদের ছবিসহ ঠিকানা পেলেও জাকারিয়ার ছবি,এমনকি কে জাকারিয়াকে ভর্তি কিংবা রিলিজ করেছেন তার কোন হদিস পাননি। এভাবে দুই দিন থেকেও জাকারিয়ার সন্ধান পাননি।
ইউটিউবের গান গাওয়া ছেলেটিই দশ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া আপনার ছেলে কিভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন,এমন প্রশ্নের জবাবে মা জয়গুন্নেছা বলেন, ছোট বেলায় ‘আকাশ কাঁদে,বাতাস কাঁদে, কাঁদে আমার মন, তোমায় ভালবেসে কাঁদে আমার দু’নয়ন’-এ গানটি সব সময় জাকারিয়া গাইতো। এসময় তিনি ওই ছেলেই তার হারিয়ে যাওয়া জাকারিয়া। তাকে চিনতে পারবেন না-তা কি করে হয় বলে তিনি দাবি করেন।


এ খবর টি সোস্যাল মিডিয়াতে এ পোষ্ট করুন

এ জাতীয় আরও খবর




© All rights reserved © 2013-2022