অভয়নগরে নারী এপিকে ঢাকায় বদলি : বহাল তবিয়তে স্বঘোষিত রংবাজ পিআইও এবং ইউএনও

বিশেষ প্রতিনিধি।।
যশোরের অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী সহকারী প্রোগ্রামারকে কুপ্রস্তাব এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ করার পর ওই ভুক্তভোগী উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামারকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর তারিখে তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরের ৫৬.০৪.০০০০.০০৮.১৯.০০১.১৬.১৪৯৬ স্মারকে তাকে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলা কার্যালয়ে বদলির পাশাপাশি একই আদেশে আগারগাঁও ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সিতে সংযুক্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি অভয়নগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোবাইলে ওই সহকারী প্রোগ্রামারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অডিওটি সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সহকারীকে বদলি করা হলেও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় সচেতন মহলে মন্তব্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, অভয়নগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে নারী সহকারী প্রোগ্রামারকে কু প্রস্তাব দিতেন। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া তাকে নানাভাবে হয়রানীর পাশাপাশি অফিস সময়ের পরে নির্বাহী অফিসারের কক্ষে ডাকা হতো বলেও তিনি অভিযোগ করেন। অফিসে না গেলে তাকে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করা হতো।
ওই ভুক্তভোগী নারী সহকারী প্রোগ্রামারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন অভয়নগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকতা। তার এই হুমকির একটি অডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোস্যাল মিডিয়াতে। ওই অডিও কল রেকর্ডে পিআইও নিজেকে খুলনার সেরা রংবাজ বলে সহকারী প্রোগ্রামারকে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দেন।
লিখিত বক্তব্যে সহকারী প্রোগ্রামার বলেন, বর্তমান পিআইও সাহেবের মাধ্যমে স্যার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়াতেন (স্যারের হতাশা দুর করা এপি হিসেবে হিসেবে আমার দ্বায়িত্ব, এই হতাশা স্ত্রী না অন্য কোন নারী কাটাতে পারে,. আমি যেনো এই হতাশা কাটাই, স্যারকে যেন সঙ্গ দিই…) বর্তমান ইউএনও স্যার নিজেও বলেছেন উপজেলায় এপির কাজ তার আশেপাশে থেকে সব কাজ করা, টেকনিক্যাল কাজের বাইরেও অনেক কাজ থাকে সেগুলো করা এবং মুখে না বললেও অনেক কিছু বুঝে নিয়ে করা।
এক প্রশ্নের জবাবে সহকারী প্রোগ্রামার বদিলর বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্ষোভের সাথেই বলেন, আমাকে ঢাকাতে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আমাকে হয়রানি এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি-না তার কিছু আমার জানা নেই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।