ঢাকামঙ্গলবার , ৫ জানুয়ারি ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে বসতবাড়ি ও স্কুল সংলগ্ন অবৈধ ইটভাটা

Tito
জানুয়ারি ৫, ২০২১ ৭:২০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আবু বক্কার সিদ্দীক, মনিরামপুর থেকে॥
স্কুলটির ধারঘেঁষে ইটভাটা। ওতে আগুন জ্বলে। ইট পোড়ে। মাটি, খড়ি, ইট বোঝাই করে ট্রাকের পর ট্রাক আসে। ধুলো আর ধোঁয়া প্রচুর। এর মধ্যেই চলে শিক্ষার্থী ও এলাকা সাধারন মানুষের আসা-যাওয়া।
আটপাকিয়া বেগমপুর স্বরূপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংলগ্ন রাস্তা। ১৯৭২ সালে চালু হয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং তার অনেক আগে থেকেই এখানে স্থানীয়দের বসবাস। ১৪-১৫ বছর আগে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে তোলা হয়েছে মেসার্স বন্ড ব্রিকস্ নামের এই ইটভাটা।
আটপাকিয়া বেগমপুর স্বরূপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ধুলা বালির জন্য জানালা খুলতে পারে না। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে বিদ্যালয় মাঠে একজন অভিভাবকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার মেয়ে এই স্কুলে পড়ে এবং নিয়মিত ধুলা বালিতে তার শরীর ভরা থাকে ও আমার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বলে কিছুক্ষণ পরপর ধুলোর আস্তরণ পড়ে বই ও বেঞ্চের ওপর। যান চলাচলের শব্দে কানে তালা লাগে।
ইটভাটার কারণে অসুবিধা হয় কি না, জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিলা রানী মৈত্র জানান, অসুবিধা তো অবশ্যই হয়। ইটভাটার পাশাপাশি রাস্তা থেকে প্রচুর ধুলাবালি আসে এবং সারাদিন গাড়ির শব্দে বাচ্চাদের লেখাপাড়া করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।
গত ২০ডিসেম্বর ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা আক্তার এই ভাটায় অভিযান চালায়, কাগজপত্র না থাকায় বন্ড ব্রিকস্কে ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করে চলে যাওয়ার পর দিন থেকেই আবারও পূর্বের ন্যায় ভাটাটি চালাচ্ছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা, শিক্ষার্থী ও এলাকার ছোট বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে কি না, জানতে চাইলে ভাটা মালিক আব্দুল ওদুদ বলেন, ‘সমস্যা তো একটু হয় তবে আমি ইটভাটাটি অন্য একটি জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইটভাটার বৈধতার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চল অফিসে যোগাযোগ করলে নাম না বলার শর্তে এক কর্মচারী বলেন, ওই ভাটার কোন কাগজপত্র না থাকায় কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করে আসছে। পরবর্তীতে তারা কেমনে ভাটা চালু করলো সে বিষয়ে তার অজানা। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলেন, উনারা যে বক্তব্য দিবেন সেই অনুযায়ী আমি বক্তব্য দিব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।