যশোরে দুইটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় : তরিকুল ইসলামসহ ৪৯ জনের নামে মামলা

বুধবার ভোররাতে যশোর উপশহর এলাকায় দুইটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের নামে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় বিএনপির আরও ৪৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের শীর্ষ নেতাদের আসামী করা হয়। কোতয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার জহুরুল ইসলাম জানান, বুধবার ভোররাতে যশোর উপশহর এলাকায় দুইটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামসহ ৪৯জনকে। মামলায় অভিযুক্ত ৪৯ জনের মধ্যে রয়েছেন— বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সভাপতি ও যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য ও তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ছাত্রদল সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা পূর্ব শাখার সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা পশ্চিম শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, শহর শাখার প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এদিকে, অগ্নিদগ্ধ বাসের হেলপার মুরাদ মোল্লাকে দুপুরে ঢাকায় স্থানন্তর করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ মুরাদ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মাওনাড়া গ্রামের তোরাব মোল্লার ছেলে। যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, ভোর ৪টার দিকে যশোর উপশহর এলাকার খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে আড়াইশ গজের ব্যবধানে দাড়িয়ে থাকা দুইটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একটি বাসের আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেললেও অপর বাসটি পুরোপুরি ভস্মিভূত হয়। ওই বাসটির ভেতরে থাকা হেলপার মুরাদ মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ঢাকায় স্থানন্তর করা হয়।