আবু বক্কার সিদ্দীক, মণিরামপুর থেকে।।
গতকাল নারী ভিক্ষুক কুলসুম বেগম তার সংগ্রকৃত চাল ও পুরাতন কিছু কাপড় চুরি হওয়ার পর অঝরে কেঁদেছিলেন কুলসুম। খবরটি অনলাইন সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে। খবর পেয়ে আজ পহেলা রমজানে তার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম। তাকে খাদ্যদ্রব্য সহ নগদ অর্থ সহযোগিতা করেন তিনি।
ভিক্ষুক কুলছুম বেগম গ্রাম-গ্রামে ঘুরে মানুষের সাহায্য দেয়া ভিক্ষুক কুলসুম বেগমের ৪/৫ কেজি চালসহ পুরনো কাপড়ের ব্যাগ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের চাউল পট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। ভিক্ষার চাল হারিয়ে কুলসুমের আহাজারি দেখে ব্যবসায়ীসহ উপস্থিত অনেকেই হতবাক হয়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার ভরতপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী ভিক্ষুক কুলসুম বেগম অন্যান্য দিনের ন্যায়
সাহায্য গ্রহণে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ৪/৫ কেজি চালসহ ব্যবহারের জন্য কয়েকজন নারী তাকে কিছু পুরনো কাপড় সাহায্য দেয়। তিনি সাহায্য নিয়ে বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের চাউল পট্টিতে এসে চাল ব্যবসায়ী হরিকে বলে পাশে তার ব্যাগটি রেখে কিছু সময়ের জন্য তিনি পাশ্ববর্তী স্থানে সাহায্য চাইতে যান। ফিরে এসে তিনি দেখতে পান তার চালসহ পুরনো কাপড়ের ব্যাগটি সেখানে নেই। এসময় তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকলে ব্যবসায়ীসহ উপস্থিত অনেকেই জানতে পারেন তার ভিক্ষা করা চালসহ কাপড়ের ব্যাগ কে-বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানার পর পরই চাউল পট্টিতে গিয়ে জানতে চাইলে চাল ব্যবসায়ী হরি বলেন, ভিক্ষুকের ব্যাগ খোয়া যাওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এসময় চাল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও আনোয়ারুলসহ কয়েকজন ক্ষোভের সাথে বলেন, ভিক্ষুকের চাল
চুরি করার মত মানুষ এ সমাজে এখনও আছে? ভিক্ষুক কুলসুম বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, গত সোমবার বাড়ির পাশে একজনের নিকট থেকে চাল ধার করে ভাত খেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সাহায্যের এ চাল থেকে তা পরিশোধ করব। কিন্তু তা আর হলোনা। এক পর্যায় তিনি প্রায় এক ঘন্টা ধরে তার খোয়া যাওয়া চাল ও পুরনো কাপড়ের ব্যাগ বিভিন্ন স্থানে খুঁজলেও তা পাননি।
এসময় তার আহাজারী-কান্না দেখে হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ী তাদের দোকান থেকে তাকে সামান্য পরিমাণ চাল সাহায্য করেন।