ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৬ মে ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

Tito
মে ৬, ২০২১ ২:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি॥
যশোরের মনিরামপুরে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে কালিবাড়ি বাজারে প্রতিপক্ষের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ভূক্তভোগীরা পরিত্রান পেতে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ভূক্তভোগীদের বার বার হুমকি দিচ্ছে এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য।
এলাকাবাসী জানায়, মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে সাহাজান আলীর কাছ থেকে ১৯৯০ সালে তিন শতক জমি ক্রয় করেন স্থানীয় মৃত ইন্তাজ আলী মোড়লের দুই ছেলে গফুর মোড়ল ও সিদ্দিক মোড়ল। সেই থেকে গফুর ও সিদ্দিক ভোগদখল করে আসছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই জমি দাবি করেন ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাইয়েরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমানের ভাই আবদুল আলিম আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ফলে নেহালপুর পুলিশ ফাড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই বখতিয়ার হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ শুনানী শেষে আদালত আবদুুল আলিমের দাখিলকৃত আবেদনটি খারিজ করে দেন। ফলে গফুর ও তার ভাই সিদ্দিক মোড়ল স্থানীয় নেহালপুর ফাড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে ওই জমিতে একটি চায়ের দোকান নির্মান করেন। সেই থেকে তারা চায়ের ব্যবসা করে আসছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ও তার ভাই আবদুল আলিম, মিলন, হাফিজুর, মফিজুর, আজিজসহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে কালিবাড়ি বাজারে গফুর ও তার ভাই সিদ্দিক মোড়লের চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পর লুটপাট চালায়। এ সময় দোকানে ছিলেন কর্মচারী আবু খয়ের। অবশ্য হামলার সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে কর্মচারী আবু খয়ের পালিয়ে প্রানরক্ষা করেন। দোকান মালিক গফুর অভিযোগ করেন, এসময় সন্ত্রাসীরা দোকান ভাংচুরের পর ক্যাশবাক্স থেকে নগদ ১০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মলামাল লুট করে নিয়ে যায়। দোকান মালিক গফুরের ছেলে আবু যায়েদ জানান, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পরিত্রান পেতে তিনি নেহালপুর ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আতিকুজ্জামানকে ফোন করেন। কিন্তু ফাড়ি পুলিশ এগিয়ে আসেননি তাদের রক্ষ করতে। তবে এসআই আতিকুজ্জামান জানান, তিনি ভ’ক্তভোগীদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান দোকান ভাংচুরের সততা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার সঠিক হয়নি। মনিরামপুর থানার ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।