মণিরামপুরে রতি বোমার বিস্ফোরনে শিবির কর্মীর কব্জি উড়ে গেছে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চিকিৎসা

মণিরামপুরে রতি বোমার বিস্ফোরণে জামায়াত-শিবিরের এক কর্মীর হাতের কব্জি উড়ে গেছে। শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর পরই উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামে আব্দুল ওহাবের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরিত বোমায় গুরুত্বর জখম ওহাবের পুত্র আবু বক্কর (১৭) কে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরিত বোমার আলামত জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। প্রতাদর্শীর ভাষ্যমতে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর পরই ঢাকুরিয়ার দনি পাড়ায় বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে বিস্ফোরিত বোমার উৎপত্তিস্থলে গিয়ে দেখতে পায় ওই গ্রামের আব্দুল ওহাবের পুত্র দশম শ্রেণীতে পড়–য়া শিবির কর্মী আবু বক্কর আর্ত চিৎকারের সাথে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে গড়াগড়ি করছে। এ সময় তার বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া বোমার স্প্রিন্টারে শরীরিরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। স্থানীয় ঢাকুরিয়া কমিউনিটি কিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত রহিমা খাতুন জানান, দুপুরে খাওয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পায়। গুরুত্বর জখম আবু বক্করকে চিকিৎসার জন্য তার বাড়ির পাশের জনৈক শহিদুল নামের এক যন্ত্র চালিত ভ্যান চালককে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছে মর্মে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ভ্যানে সতীঘাটা নামক স্থানে গেলে সাদা রংয়ের একটি মাইক্রো বাসে দ্রুত তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানায়। সাথে তার পিতা আব্দুল ওহাব, বড় ভাই এমএম কলেজে পড়–য়া সোহাগ, চাচাতো ভাই বিল্লালসহ জনৈক আরোও এক ব্যক্তি ছিলেন বলেও জানা যায়। এদিকে ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত বোমার আলামত হিসেবে জালের কাঠি উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশী উপস্থিতি টের পেয়ে আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি জন শুন্য হয়ে পড়ে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা খবীর আহমেদ জানান, তার সন্ধান পেতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।