ঢাকাবুধবার , ১৮ মে ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে জমি দখল করে ঘের নির্মাণের মিথ্যা প্রচারে আতংকিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা

Tito
মে ১৮, ২০১৬ ২:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মণিরামপুরের পল্লীতে মৎস্য ঘের তৈরীতে জমি ব্যবহার সংক্রান্ত ঘটনায় দু’মালিক পক্ষের টানাটানিতে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাধিক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জমি মালিকদের অজান্তেই তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ফায়দা লুটতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল।
সরেজমিন জানাযায়, উপজেলা চালুয়াহাটী ও ঝাঁপা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী চন্ডিপুর-রামনাথপুর বিলে নতুন করে গড়ে ওঠা একটি মৎস্য ঘের নিয়ে এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অজানা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। একটি মহলের সংখ্যালঘুদের জমি দখলের মিথ্যা প্রচারনায় নতুন করে সংকট সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, ওই এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল মোমিন, হারুন অর রশিদ, টুটুলসহ কয়েকজন তাদের নিজেদের ও নিকট আত্মীয়দের মিলে শতাধিক এবং চন্ডিপুর-রামনাথপুর বিলের প্রায় দু’শ বিঘা জমির উপর মৎস্য ঘের স্থাপন করতে আলোচনা চালিয়ে যান। একপর্যায় তারা ওই বিলের অন্যান্য ভূমি মালিকদের সাথে কথা বলে তাদের সম্মতিতে বাকি জমি নিয়ে ঘেরের কাজ শুরু করেন। এতে বাঁধ-সাধে স্থানীয় অপর এক ঘের ব্যবসায়ী। ওই বিলে তারও মাত্র ২৬ শতাংশ জমি রয়েছে বলে এলাকাবাসি জানায়। তিনি নিজে ঘের করার খায়েশ প্রকাশ করে অন্য জমি মালিকদের তার সাথে জমির চুক্তি সম্পাদন করতে একের পর এক চাপ সৃষ্টি করেন বলে একাধিক জমি মালিকরা জানান। সম্প্রতি অপর পক্ষ জমিতে মাটি কাটার কাজ শুরু করলে তিনি বিভিন্ন মহলে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের মিথ্যা প্রচার চালাতে শুরু করেন। জমি মালিক রবিন হাজরা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, কোন প্রকার জবরদস্তি নয়, তিনিসহ তার পরিবার ও জানামতে পাড়ার সকলেই স্বোচ্ছায় ঘের করতে মোমিনদের কাছে জমি দিয়েছে। তিনি বলেন, ”আমি বা আমার পরিবারের কেউ কিছুই জানিনে, হঠাৎ শুনলাম আমি নাকি বলেছি আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। এসব গুজব যারা ছড়ায়ে আমাদের সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্তিতে ফেলতেছে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।” অপর জমি মালিক সুভাষ হাজরা বলেন, যশোরে থেকে আসে এই এলাকার এক ঘের ব্যবসায়ী নিজে ঘের করতি চাইলো, আমরা তাকে জমি দিনি, ওমনি হেনে-হনে কয়ে বেড়াচ্ছে আমাগের জমি দখল হয়ে গেছে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ তাহেরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে, তবে এখনো পর্যন্ত দখলের কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। ঘের মালিক আব্দুল মোমিন জানান, জমি মালিকগণ স্বেচ্ছায় আমাদের সাথে জমি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।