ঢাকাবুধবার , ১৫ এপ্রিল ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের মিষ্টি পান দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের ১৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে

admin
এপ্রিল ১৫, ২০১৫ ২:১৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পান চাষ করে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার প্রায় দুই হাজার চাষি পরিবারের ভাগ্য বদলেছেন। উপজেলার পৌরশহরসহ ১৮টি ইউনিয়নে মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে পান চাষ হয়েছে দুইশত হেক্টর জমিতে। যা গত মৌসুমের চেয়ে ১শত হেক্টর বেশি। বর্তমানে পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এলাকার চাষিরা বেশ আগ্রহের সাথে পান চাষ শুরু করেছেন। চাষিরা বাজারে পানের ভালদাম পাওয়ার তাদের ঘরে ঘরে এখন আনন্দের জুয়ার বয়ে চলেছে। এছাড়া তাদের উৎপাদিত সু-স্বাদু মিষ্টি পান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাসহ বহির্বিশ্বের ১৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। Pan.

সূত্র জানায়, ঝাঁলপান, ভাবনা পান ও মিষ্টিপান নামের তিন প্রকারের পান বার মাসই এ উপজেলায় চাষ হয়। এর মধ্যে বাজারে মিষ্টি পানের চাহিদাসহ দাম অনেক বেশি পাওয়ায় উপজেলার অধিকাংশ চাষি মিষ্টি পানের চাষ করেছেন। বর্তমানে এ উপজেলায় দুইশত হেক্টর জমিতে দুই হাজার দুইশ চাষি বিভিন্ন জাতের পানচাষ করছেন। এরমধ্যে মশ্বিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি, চাকলা, কাঁঠালতলা ও খাজুরা গ্রামে ১শ ১০ হেক্টর, ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সমশেরবাগ, ভরতপুর ও প্রতাপকাটি গ্রামে ৮০ হেক্টর, খাঁনপুর ইউনিয়নের ঘুঘুদহ গ্রামে ৫ হেক্টর, শ্যামকুড় ইউনিয়নের দূর্গাপুর ও নাগরঘোপ গ্রামে ২ হেক্টর ও খেদাপাড়া ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামে ৩ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। যার মধ্যে মিষ্টিপান চাষ হয়েছে ১শত ৮০হেক্টর জমিতে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়। সরজমিনে যেয়ে কথা হয় রাজগঞ্জের পারখাজুরা গ্রামের পান চাষি আজাহারুল ইসলামের সাথে, তিনি জানান, ৪ একর জমিতে মিষ্টিপানসহ বিভিন্ন জাতের পান চাষ করেছেন। এতে খরচ হয় দুইলাখ টাকা। তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এ পর্যন্ত মিষ্টিসহ বিভিন্ন জাতের পান বিক্রি করেছেন প্রায় ৪ লাখ টাকা। ওই গ্রামের আব্দুস সাত্তার, আতিয়ার গাজী, মোমিনুর রহমান, আলী হোসেন, মতিয়ার রহমান ও রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় ১০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের পান চাষ করেছেন। তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তারা ছয়’জনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এ পর্যন্ত মিষ্টিপানসহ বিভিন্ন জাতের পান বিক্রি করেছেন প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ টাকা। চাষিরা ন্যায্য মূল্যে পাওয়ার তাদের ঘরে ঘরে আনন্দের জুয়ার বয়ে চলেছে।পানচাষিরা মনে করেন অন্যান্য ফসলে কৃষি ঋণের সকল সুযোগ সুবিধা থাকলে পান চাষিরা তা থেকে বরাবরই বঞ্চিত হয়ে আসছেন। পানচাষিদের জন্য ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা থাকলে এলাকার চাষিরা পান চাষের উপর আগ্রহী হতেন বলে তারা দাবি করেন।

মণিরামপুর কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভালদামসহ দেশে ও আর্ন্তজাতিক বাজারে মিষ্টিপানের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গত মৌসুমের চেয়ে চাষিরা এবার এ উপজেলায় প্রায় ১শ হেক্টর জমিতে বেশি পান চাষ করেছেন। এভাবে যদি বাজারে পানের দাম অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী মৌসুমে এ উপজেলায় আরো ২/৩শ হেক্টর জমিতে পানচাষ বেশি হতে পারে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।