মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মেধাবী স্কুলছাত্র সাজেদুর রহমান (১১) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে শাহরিয়ার নামে এক আসামি স্বীকারোক্তি দিয়েছে। রোববার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন। মামলার আসামি শাহরিয়ারের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম। আসামি আল-শাহরিয়ারের বাবার নাম আবদুল বারী মোল্লা। মণিরামপুরের পাঁচাকড়ি গ্রামের তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে। জবানবন্দীতে আল-শাহরিয়ার জানান, নিহত সাজেদুর হত্যায় সে ও সাজেদুরের বাবার খালাতো ভাই মোশারফ গাজীর ছেলে ওয়ালিউল্লা ওরফে লাল্টু জড়িত। নিহত সাজেদুরের বাবা মাছের ঘের ব্যবসায়ী। তার ব্যাংকে প্রায় ৮০ লাখ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। টাকার লোভে তারা সাজেদুরকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে পরে মুক্তিপণ আদায়ের চিন্তা বাদ দেন তারা। উপায়ান্তর না দেখে ওই দিন রাত ৮টার দিকে সাজেদুরকে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে ভবদহ বিলের কাদায় পুঁতে রাখে। ১৫ এপ্রিল অভয়নগর থানা পুলিশ টেকা নদী থেকে সাজেদুরের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাজেদুরের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। নিহত সাজেদুর যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর আইডিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।