ঢাকাশুক্রবার , ১৫ মে ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতাকারীরা হামলা চালিয়ে আসামী ছিনতাই ॥ দারোগাসহ ৫ জন জখম

admin
মে ১৫, ২০১৫ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরে এক নাশকতা কারীকে আটক করায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের হামলায় পুলিশের এএসআই সহ ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার কোনাকোলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ধৃত নাশকতা কর্মীকে ছাড়িয়ে নেয়।

জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে কোনাকোলা বাজারে জামায়াতের নাশকতা কর্মী দবির (৪৫) কে মণিরামপুর থানার এএসআই তৌহিদ আটক করে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করে। এ সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার উপর বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গবদ্ধ নাশকতা কর্মীরা ধারালো দাঁ, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা নিয়ে হামল চালায়। মণিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাছুম বিল্লাহ জানান, এসময় তাদের হামলায় মণিরামপুর থানার এএসআই তৌহিদুর রহমান, কনস্টবল মান্নান, নজরুল ইসলাম, ইদ্রিস ও মটর সাইকেল চালক ইসলাম (৩৫) গুরুত্বর জখম হন। হামলায় এএসআই তৌহিদসহ OLYMPUS DIGITAL CAMERAওই ৫ জনের মাথায় ধারালো বেকীর কয়েকটি কোপ লাগলে তারা রক্তাক্ত যখম হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় হামলাকারীরা ধৃত দবিরকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আহতরা রাস্তায় পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানার ওসি মোল্লা খবির আহম্মেদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা কোনাকোলা বাজারে গেলে বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে চলে যায়। রাত সাড়ে ৮ দিকে আহতদেরকে পুলিশের গাড়ীতে করে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান আহতদের অবস্থা গুরুত্বর। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ওই বাজার থেকে ইতোপূর্বে পুলিশ কয়েক দফা নাশককতা কর্মীদের আটক করায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঝে ােবের সৃষ্টি হয়। এর প্রেেিত শুক্রবার সন্ধার পর তারা স্থানীয় জনৈক মোমিনের চায়ের দোকানে হামলার সরঞ্জামাদি নিয়ে পুলিশের অপো করতে থাকে। এএসআই তৌহিদসহ সঙ্গীয় ফোর্স রাত ৮ টার দিকে দবিরকে আটক করলে পূর্ব থেকে চায়ের দোকানে ওঁৎপেতে থাকা বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এবং দবিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাজার ত্যাগ করে। এ ব্যাপারে থানার ওসি মোল্লা খবির আহম্মেদ বলেন, ঘটনা সত্য। যারা এ হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের আটক করার চেষ্টা চলছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। উল্লেখ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগে ও পরে কোনাকোলা গ্রামের রমজান আলী, শ্যামনগরের আলতাফ হোসেন, নারিকেল বাড়িয়ার হারুন অর রশীদ, কোনাকোলা বাজারের আছির উদ্দীনের নেতৃত্বে ব্যাপক তান্ডব চলে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তারা বরাবরই রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, তাদেরকে আটক করা হলে পুলিশকে আজ এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হতো না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।