যশোরের মণিরামপুর উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের এক লম্পট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৫ সালের এস,এস,সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গতকাল বুধবার মণিরামপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মোল্লা খবীর আহমেদ। থানায় দায়ের এজাহার সুত্রে জানাযায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের ডাক্তার জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্র হুমায়ুন কবির একই গ্রামের দিন মজুর শিহাব উদ্দীনের কন্যার সাথে বিয়ের লোভ দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত শনিবার রাতে লম্পট হুমায়ুন ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে কৌশলে বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। এরপর পার্শ্ববর্তী জেলেরকুড় নামক বিলে নিয়ে জনৈক হাবিবুর রহমানের মাছের ঘেরে মধ্যে হুমায়ুন ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে উক্ত ঘটনা তার পরিবারসহ এলাকাবাসীকে জানিয়ে গত সোমবার ওই ছাত্রী হুমায়ুনের বাড়ীতে উঠলে লম্পট পরিবারের অন্যান্য লোকজন তাকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। আর এ ঘটনায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে ওই ছাত্রী থানায় এজাহার দায়ের করেন। স্থানীয় লোকজন জানায়, পাষবিক নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর মা নেই এবং পিতা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে আছে। একটি সূত্র জানায়, উক্ত ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষক পরিবারের পক্ষ থেকে মোটা অংকের অর্থ বিভিন্ন সংস্থার পরিচয়দানকারী ব্যক্তিদের দেয়া হয়েছে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা খবীর আহম্মেদ জানান, উক্ত ঘটনায় তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।