ঢাকাশনিবার , ৪ জুলাই ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সেই হুমরা মার্কা সাংবাদিক আজ দিশেহারা

admin
জুলাই ৪, ২০১৫ ৭:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কাঁক সকলের মাংস খায়, কাকের
মাংস কেউ খায় না। এমন একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যার অর্থ-প্রতারককে
কেউ সহজে ঠকাতে পারে না, কিন্তু সে সকলকে ঠকাতে পারে। সাংবাদিক সমাজে এই প্রবাদটির
প্রচলন রয়েছে। অনেক সাংবাদিককে দেখা যায় তাদের বাহ্যিক আড়ম্বনা বেশি, কিন্তু পেশাগত কাজকর্মে
নিপুনতা নেই। তাদের কথা ও আচারনে
মানুষ ঠকানোর চেষ্টা সহজেই ধরা পড়ে
না। এমন প্রকৃতির সাংবাদিকরা প্রশ্রয়
পাওয়ায় সাংবাদিকতার মান ও নিম্ম
পর্যায়ে নেমে আসছে। লোভীকে
প্রশ্রয় দিলে লোভ অনেক গুন বেড়ে
যায়। তেমনিভাবে মণিরামপুরে
কতিপয় এক হুমরা মার্কা
সাংবাদিকের বিস্তার ঘটেছে।
যাকে নিয়ে কয়েকদিন আগে মণিরামপুরে বহুল প্রচলিত মণিরামপুর প্রতিদিন’ নামে অনলাইন
পত্রিকায় সাংবাদিকতায় ‘‘বেঁচে
থাকার একমাত্র পথ তিনি একজন হুমরা
মার্কা সাংবাদিক’’(প্রতিবেদন-১)
শিরোনামে সচিত্র তথ্য বহুল সংবাদ
প্রকাশিত হওয়ায় বেরিয়ে আসছে
আরোও চাঞ্চল্যকার তথ্য। মণিরামপুর উপজেলা জাসাস সভাপতি আসাদ্দুজ্জামান রয়েল যাকে নাশকতাকারী বলে সবাই চেনে। কয়েকদিন আগেও তিনি ছিলেন বিরোর্ধীদলের সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের অংশীদার।
সরকারের পরাজয় আগে থেকে আচঁ
করতে পেরে হামলা-মামলার হাত
থেকে রক্ষার পথ খুজঁতে নেমে আসেন
সাংবাদিকতায়। আর সাংবাদিকতার
সুবাদে থানাসহ বিভিন্ন অফিস-
আদালত যাওয়ার সুযোগকে কাজে
লাগিয়ে সরকারী পরিকল্পনা ফাঁস
করে চলেছিলেন স্বতীর্থদের কাছে।
এতে করে বিরোধী দল যেমনি
নিজেকে নিরাপদে রেখে সুবিধা
ভোগ, তেমনি রুটিরুজির ব্যবস্থা হয়ে
আসছিল বিভিন্ন দপ্তর থেকে। কিন্তু গত
২২ জুন মণিরামপুরে বহুল প্রচলিত
মণিরামপুর প্রতিদিন’ নামে একটি
অনলাইন পত্রিকায় ‘‘সেই হুমরা মার্কা
সাংবাদিকের মূল কর্মকান্ড ফাঁস
হওয়ায় তোলপাড়’’(প্রতিবেদন-২)
শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর
থেকে তিনি (রয়েল) এখন দিশেহারা।
হুমরা মার্কা সাংবাদিকের তথ্যবহুল
সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বন্ধ
হতে শুরু করেছে বিভিন্ন অফিস-
আদালতে দরজা। পাশাপাশি মূখ খুলতে
শুরু করেছেন বিভিন্ন দপ্তরের
দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
ইতিপূর্বে মণিরামপুরে কোন এক
অনুষ্ঠানে উপজেলার একজন
দায়িত্বশীল কর্মকর্তা তাকে উদ্দ্যেশ্য
করে বলেছেন, হয় চাঁদাবাঁজি ছাড়েন
না হয় সাংবাদিকতা ছাড়েন। তিনি
(দাপুটে) উপায়ন্তর না পেয়ে প্রতি
উত্তরে বলেছেন চাঁদাবাজি না
করলে খাবো কি! বিষয়টি
মণিরামপুরের কর্মরত সাংবাদিকদের
সাথে তার কয়েকবার কথা
কাটাকাটি হয়েছে। তিনি শুধু
নিজেকে নয় গোটা সাংবাদিক
সমাজকে কুলসিত করেছেন। তাই তাকে
প্রেসক্লাবের সদস্য থেকে বহিঃস্কার করা উচিৎ বলে অনেকেই মনে করেন।
নাম প্রকাশ না শর্তে বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, টংক্যার অভাব,খোদ্দের দেখো মোটরসাইকেলটি
বিক্রয় করবো। মোটরসাইলের কাগজপত্রের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন সমস্যা একটাই! কাগজ নেয়।
পাঠক এর অর্থ কি? নিশ্চয় বুঝতে
পেরেছেন। বিগত ও বর্তমানের ওই সব
কর্মকান্ডের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহপূর্বক
আইনের আওতায় আনার জোর দাবী
জানিয়েছেন মণিরামপুরের সচেতন
মহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।