ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ জুলাই ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নেটের উপর ভর করছে মনিরামপুরের ঘের  মালিকদের ভাগ্য ॥ ক্ষতির আশংকা ২৫ কোটি টাকা

admin
জুলাই ৩০, ২০১৫ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ কপোতাক্ষের উজানের পানি ও ভবদহ এলাকার স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মনিরামপুরের ঘের মালিকদের ভাগ্য এখন নির্ভর করছে নীল রং-এর নেটের উপর। কখন যে এটাও ভেসে যাবে তারও কিছু বলতে পারছেননা তারা। ফলে চরম হতাশায় নিমজ্জিত ঘের মালিকদের ভবিষ্যত। এমতাবস্থায় সরকারী সহযোগীতা না পেলে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসতে হবে তাদের। এদিকে উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ঘের গুলো ভেসে যাওয়ার জন্য ঘের মালিকদের কেউ কেউ নেহালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, তার ভাইপো লাভলু ও মৎস চাষী ইসমাইলকে দায়ী করেছেন। 02
উপজেলা মৎস অফিস সূত্রে জানা যায়, মনিরামপুরে ছোট-বড় ঘেরর সংখ্যা ৪ হাজার ৮’শ ১০টি। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও নি¤œচাপের ফলে উপজেলার প্রায় ৬৫০ টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়-ক্ষতির আনুমানিক হিসাব ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার উপজেলার নেহালপুর, কুলটিয়া, হরিদাসকাঠি, দূর্বাডাঙ্গা, ঝাঁপা, হরিহরনগর ও মশ্মিমনগর ইউনিয়নের সততা মৎস খামার, লখাইডাঙ্গা মৎস ও ফসল সমবায় খামার, বান্ধব সমবায় মৎস খামার, পূর্বাশা সমবায় মৎস খামার, ঝাঁপা ও হরিহর নগর বাউড়। সততা মৎস খামারের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহীম জানান, নেহালপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান, তার ভাইপো লাভলু ও মৎস চাষী ইসমাইল বাগদা চাষের জন্য ভারী বর্ষনের পূর্বে মুক্তেশ্বরীর বাঁধ কেটে ঘেরে পানি ঢুকিয়েছেন। পরে সেটা বেধে দিলেও অতিবর্ষনে তা ভেঙ্গে নদীর পানি ঢুকে এএলাকার ঘের গুলো প্লাবিত হয়েছে। কুলটিয়া ইউনিয়নের হেলারঘাট এলাকার ঘের মালিক অসিম সরকার জানান, ভবদহের বাঁধ আমাদের জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ঘেরের মাছ রক্ষার জন্য আমরা নেট ব্যাবহার করেছি। কিন্তু এ ভাবে আর দু-একদিন বৃষ্টি হলে ঘেরের মাছ রক্ষা করেত পারব কিনা তা সন্ধিয়ান। লখাইডাঙ্গা মৎস ও ফসল সমবায় ঘেরের অডিটর গনেষ চন্দ্র ম-ল জানান, ইতি মধ্যে ঘেরে ৬৬ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৫ কোটি টাকার মাছ বিক্রির আশা করেছিলাম।04 ঘের ভেসে যাওয়ায় তা ভেস্তে গেল। জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত পূর্বাশা মৎস সমবায় খামারের সভাপতি শান্ত জানান, ঘের ভেসে গেছে। মাছ ঢুকেছে না চলে গেছে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রতি বছর এক কোটি টাকার মাছ বিক্রি করি। সততা মৎস খামারের সভাপতি শাহজাহান জানান, নেট দিয়েও ৪’শ বিঘা এরিয়ার ঘেরের মাছ ঠেকাতে পারিনি। পুরো ঘেরটাই ভেসে গেছে। হরিহর নগর বাওড় কমিটির সভাপতি আ.রফিক জানান,৫২ হেক্টর এলাকার পুরো বাওড়টি কপতাক্ষের পানিতে ভেসে গেছে। এদিকে ২৯ ও ৩০ জুলাই উপজেলার ডুবে যাওয়া কয়েকটি ঘের পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আনোয়ার কবির। তিনি জানান,‘দুই দিন ধরে নেহালপুর ও ঝাঁপাসহ কয়েকটি এলাকার ভেসে যাওয়া ঘের পরিদর্শন করেছি। সমস্থ ঘের ভেসে পানি থৈ থৈ করছে। ঝাপার বাওড় ভেসে পানি পাশ্ববর্তী এলাকায় ঢুকে পড়েছে।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।