ঢাকাসোমবার , ৩ আগস্ট ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের কপোতাক্ষ পাড়ের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, পাশে নেই স্বাস্থ্য বিভাগ

admin
আগস্ট ৩, ২০১৫ ২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একে আজাদ, মণিরামপুর:

অতিবর্ষনে ভবদহ-কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে মণিরামপুরের বিস্তৃন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। কৃষি জমি, বাড়িঘর, মৎস্য ঘের, ল্যাট্রিন ও টিউবওয়েল তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট। স্যানিটেশন ব্যবস্থার পুরোটাই ভেঙ্গে পড়েছে। ইতিমধ্যে অতিবর্ষন এবং কপোতাক্ষ নদ ও ভবদহের উপচে পড়া পানিতে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আরো বিস্তৃন এলাকা প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসি। যশোরের জেলা প্রশাসক ড.হুমায়ুন কবীর ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু একাধিকবার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দূর্গতদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। শীঘ্রই পানিবন্দীদের পুনর্বাসন ও জরুরী ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হবে বলে তারা জানান। সরেজমিনে জানাযায়, উপজেলার কপোতাক্ষ ও মুক্তেশ্বরী নদীর পাড়ের ঝাঁপা, মশ্বিমনগর, হরিহরনগর ও চালুয়াহাটী, হরিদাশকাটি, ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন এবং ভবদহের মনোহরপুর, নেহালপুর, কুলটিয়া, শ্যামকুড়, খানপুর ও দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি, পাশে নেই স্বাস্থ্য বিভাগ
এসকল এলাকার মানুষ গরু-ছাগল ও অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশের সরকারী রাস্তা ও তুলনামূলক উঁচু জায়গায়। সরকারী ভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে ইতিমধ্যে ৫ মে:টন জিআর চাল ও নগদ ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আরো ১০ মে:টন চাল ও নগদ টাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে, যা জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহৃত হবে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাযায়। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানাযায়, দূর্গত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে উঁচু স্থানে ল্যাট্রিন স্থাপন ও পানিতে তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল উঁচু করণসহ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে খোঁজ পাওয়া যায়নি স্বাস্থ্য বিভাগের। ইতিমধ্যে জ্বর, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিলেও দূর্গতের পাশে নেই স্বাস্থ্য বিভাগ। অতিবর্ষনে কৃষি জমি, মৎস্য ঘের, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দিরসহ বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার একমাত্র ব্যবস্থা কলাগাছের ভেলা অথবা কাঠ-বাঁশের তৈরী ডোঙ্গা। পানিবন্দী পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি,
কপোতাক্ষ পাড়ে নির্মিত সিডিএমপি’র বাঁধের অধিকাংশই ভেঙ্গে বিলিন হয়ে গেছে। যেকোন সময় মুল বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে পড়তে পারে লোকালয়ে। বাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকতে থাকলে উপজেলার প্রায় দু’শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হবে বলে এলাকাবাসি আশংকা প্রকাশ করেছেন। কপোতাক্ষ, মুক্তেশ্বরী ও ভবদহ পাড়ের মৎস্য ঘের বন্যার পানিতে ভেসে একাকার হয়ে গেছে । উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাযায়, ছোট-বড় সবমিলে প্রায় সাড়ে ছ’শ মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে মৎস্য চাষীদের প্রায় বার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানির পরিমান যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সোমবার যশোরের জেলা প্রশাসক ড.হুমায়ুন কবীর ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু উপজেলার বন্যা কবলিত হরিহরনগর, মশ্বিমনগর, চালুয়াহাটী ও শ্যামকুড় ইউনিয়নের দূর্গত এলাকা পরিদর্শণ করেন। এসময় তারা জরুরী ত্রাণ সাহায্য কার্যক্রম বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।