ঢাকাবুধবার , ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরে বিআরডিবি’র আট লাখ টাকা আত্নসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু

admin
সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫ ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অবশেষে মনিরামপুর বিআরডিবি থেকে আট লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতের ঘটনা তদন্তে আসছেন বিআরডিবির তিন কর্মকর্তা। তবে,এই তদন্তকারীরা সঠিক তদন্ত করবেন কি-না সেব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারন ওই টাকা আত্নসাতের সাথে ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক আব্দুল আলীমও জড়িত মর্মে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে মহাপরিচালকের কাছে। কাজেই আব্দুল আলীম ডিডির দায়িত্বে থেকে তার অধিনস্তদের দ্বারা তদন্ত করালে সেই তদন্তের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এ কারনে তদন্তের নামে নাটকীয় ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলেও আশংকা রয়েছে। তবুও আশার খবর এই যে, একটি তদন্ত হতে যাচ্ছে। অপরদিকে, মনিরামপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা অনুপম দাসের বিরুদ্ধে মৃত ও অবসর গ্রহনকারীদের নামে অধিনস্তদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্নসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সমন্বিত দারিদ্র কর্মসূচী(সদাবিক) এর মাঠ সহকারী উত্তম বিশ্বাস বিআরডিবি থেকে দেয়া সমিতিওয়ারী ঋনের টাকা আদায় পূর্বক ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা দিতে থাকেন। এরই মধ্যে কয়েকটি সমিতির ঋনের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে আসায় আগষ্ট মাসে বিপুল পরিমান ঋনের টাকা আদায় হতে থাকে। অফিসে ও ফিল্ডে কাজের চাপ দেখে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা অনুপম দাস মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাসের সুবিধার্থে হিসাব রক্ষক(জি,ও) মাহবুর রহমানের কাছে নগদ টাকা প্রদানের মেৌখিক আদেশ দেন। অফিস প্রধানের কথামতো সরল বিশ্বাসে ওই মাঠসহকারী নগদ টাকা প্রদান করতে থাকেন মাহবুর রহমানের কাছে। যার মধ্যে ধলিগাতী(উত্তর পুরুষ দল সমিতি থেকে ৫ লাখ ৮১ হাজার ৩’শ ১০ টাকা, খড়িঞ্চি পুরুষ দল সমিতির ১ লাখ ৮৯ হাজার,মাহমুদকাটি পুরষদল সমিতির ৩০ হাজার মোট ৮ লাখ ৩’শ ১০ টাকা মাহবুর রহমানের কাছে নগদ প্রদান করেন উত্তম বিশ্বাস। ওই টাকা জি,ও মাহবুর রহমান নিজ হাতে তারিখ ওয়ারী এবং টাকার পরিমান উল্লেখ পূর্বক অফিসিয়াল লেজার বইতে পোষ্টিং দিলেও ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা দেননি। এদিকে, মাঠ সহকারী বারংবার ব্যাংক ভাউচার চাইতে থাকেন মাহবুর রহমানের কাছে। যতোবার তাগিদ দিয়েছেন ততোবারই উত্তম বিশ্বাসকে চায়ের দোকানে নিয়ে গল্প ও চা খাইয়ে নানাবিধ টালবাহানা করতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ব্যাংক ভাউচারের জন্য তার উপর আরো চাপ দেয়া শুরু করলে মাহবুর রহমান ব্যাংক ভাউচারের পরিবর্তে লেজার বইতে নিজ হাতে দেয়া পোষ্টিং এর ফটোকপি প্রদান করেন। এছাড়া ২৩ আগষ্ট ধলিগাতী (উত্তর) পুরুষদল সমিতির ঋনের টাকা পরিশোধ মর্মে নিজ হাতে লিখে স্বাক্ষর ও সীল দেন মাহবুর রহমান। সেই লেখারও ফটোকটি প্রদান করেন উত্তম বিশ্বাসকে। এরপর মাঠসহকারী ওই সমিতিতে পূনরায় ঋন প্রস্তাব করেন এবং ও সমিতিতে ২৪ আগষ্ট ঋন প্রদান করা হয়। ঋন প্রদানের আগে এআরডিও মানস হালদার জিও মাহবুর রহমানের কাছে বারংবার জানতে চান ওই সমিতির ঋনের টাকা পরিশোধ কি-না। উত্তরে মাহবুর রহমান বলেছিলেন,হ্যা,পরিশোধ। এদিকে, টাকা আত্নসাত করে অন্যের উপরে দায় চাপানোর জন্য জি,ও মাহবুর রহমান মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাসের কাছে তার দেয়া লেজার বইয়ের সেই ফটোকটি চান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ফটোকপি পাচ্ছিনা উত্তর দেয়ার পর মাহবুর রহমান, আরডিও অনুপম দাস,ভারপ্রাপ্ত ডিডি আব্দুল আলীম পরস্পর যোগসাজসে মাহবুর রহমানের নিজ হাতে লেখা পোষ্টিং সমূহের পাতাগুলো লেজার বই থেকে ছিড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ।
এ ঘটনা জানতে পেরে মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাস সেই ফটোকপিগুলো খুজতে থাকেন এবং নিজ বাড়িতে পেয়ে যান। ফলে এই বিপুল পরিমান অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমানের জন্য প্রমানপত্রাদিসহ বিষয়টির স্ববিস্তার লিখে বিআরডিবির মহাপরিচালক, পরিচালক(প্রশাসন),পরিচালক(সরেজমিন)সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। সার্বিক বিষটি নিয়ে বিএসনিউজ ডটনেট এ খবরের পর খবর প্রকাশিত হতে থাকলে এক পর্যায়ে আত্নসাতের সাথে জড়িতরা দেৌড়ঝাপ শুরু করেন। নিজেদের রক।ষা করতে ও অফিসিয়াল বিধিবিধান ঠিক রাখতে আরডিও অনুপম দাস ওই ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে সহকারী পল্লী উন্নয়ন অফিসার মানস কুমার হালদার, জি,ও মাহবুর রহমান ও মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাসকে নোটিশ প্রদান করেন। আর ভারপ্রাপ্ত ডিডি আব্দুল আলীমের সাথে একাধিক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে শার্শা আরডিও মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য দু’জন হলেন সদর উপজেলার এআরডিও আছিয়া বেগম ও ডিডি অফিসের জুনিয়র অফিসার মামুন। এরা বুধবার আসবেন মনিরামপুরে ওই আত্নসাতের ঘটনা তদন্ত করতে বলে জানাগেছে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে যে, আব্দুল আলীম যেখানে নিজেই অভিযুক্ত সেখানে তারই অধিনস্তদের দ্বারা তদন্ত করালে তাকে নাটকীয় তদন্তই বলা যাবে বরৈও মনে করেন সচেতন সমাজ।
অপরদিকে,মনিরামপুর আরডিও অনুপম দাস তার অধিনস্ত সকল অফিসার ও কর্মচারীদের কাছ থেকে জুলাই মাসের বেতন উত্তোলনের পর জনপ্রতি ৫’শ টাকা করে চাদা নিয়েছিলেন এই বলে যে, যেসকল ব্যক্তি (জীবিত অথবা মৃত) মনিরামপুর অফিস থেকে ইতিপূর্বে অবসরে গেছেন তাদেরকে নিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পূর্বক স্মৃতি ধরে রাখার মতো কিছু প্রদান করা হবে। যারা মৃত তাদের পরিবারের সদস্যদের আমন্ত্রন জানানোর সিদ্ধান্তও তিনি দিয়েছিলেন। জনপ্রতি টাকা নিয়েছেন প্রায় এক মাস আগে,কিন্তু অদ্যবধি কোন অনুষ্ঠান করা হয়নি,এমনকি পুরো বিষয়টি চেপে গেছেন তিনি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।