ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর ২০১৫
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুর বিআরডিবির কর্মকর্তার গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমাণপত্র উদ্ধারে তোড়পাড়

admin
ডিসেম্বর ১০, ২০১৫ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসে সরকারী টাকা আত্নসাতের ঘটনায় একজন মাঠসহকারীকে চাকুরীচ্যুত করতে গভীর ষড়যন্ত্রের প্রমান পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া একটি শীটে তিন কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ সীল রয়েছে। কিন্তু মূল ষড়যন্ত্রকারী দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া বহুল সমালোচিত আতিয়ার রহমান রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। সূত্রমতে, ওই অফিসের সাবেক আরডিও অনুপম দাস, বর্তমান এআরডিও এবং জুনিয়ার অফিসার(হিসাব) মাহবুর রহমানসহ মাঠকর্মী উত্তম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মিলমিশে দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া বরাদ্দকৃত ১১ লক্ষাধিক টাকা আত্নসাতের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু টাকা আত্নসাতের দায়ভার একতরফাভাবে মাঠসহকারীর উপর চালানোর চেষ্টা হয় বলে অভিয়োগ উঠে। কর্মকর্তাদের রক্ষা করে শুধু মাঠকর্মীকে ফাসাতে একই অফিসের ইউসিসিএ লিমিটেড এর পরিদর্শক (যিন অর্থ আত্নসাতের জন্য পূর্বে বরখাস্ত হয়েছিলেন) আতিয়ার রহমান ব্যাপক দেৌড়ঝাপ করেন বলে অভিযোগ। এক পর্যায় দুর্নীতিবাজ আতিয়ারের পরামর্শে আরডিও অনুপম এবং ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত ডিডি মিলে একটি তদন্ত কমিটি করেন। কমিটির প্রধান শার্শা আরডিও মনিরুজ্জামান ৭ অক্টোবর তদন্তে আসেন এবং নামমাত্র তদন্ত করে চলে যান বলে অভিযোগ ওঠে। একই ঘটনায় মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাস বাদি হয়ে মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করলে যুগ্ম পরিচালক( সম্প্রসারণ ও বিশেষ প্রকল্প) আব্দুস সাত্তার মন্ডল তদন্তে আসেন গত ১৪ অক্টোবর। দুদিনব্যাপী তদন্ত শেষে ঢাকায় ফিরে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে সূত্র জানায়। সূত্রমতে, ঢাকায় তদ্বিরে গিয়ে ভাল সুবিধা করতে না পেরে আতিয়ার রহমান মাঠসহকারী উত্তম বিশ্বাসকে চাকুরীচ্যুত করতে অদক্ষ আরডিও অনুপম দাসের ঘাড়ে ভর করে নানাবিধ কুবুদ্ধি দেন এবং বর্তমান যশোর উপপরিচালক জাকিরুল ইসলামকে দিয়েও উত্তম বিশ্বাসকে শোকজ করান বলে প্রচার রয়েছে। কিন্তু উত্তম বিশ্বাস সন্তোষজনক জবাব দেয়ায় আতিয়ার রহমানের মিশন ব্যর্থ হয়। এরপর বর্তমান আরডিও নিমাই পাল, এআরডিও মানস হালদার ও জুনিয়ার অফিসার মাহবুর রহমানকে ব্যবহার করেন। এবার উত্তমকে চাকুরীচ্যুত করতে‍‍ ছক ০২ ঋন বিতরণ আদায়ের একীভূত তথ্য( সদাবিক) ফরমে আগাম স্বাক্ষর করান। স্বাক্ষর করা ওই ফরমে ১৮ টি সমিতি বা দলের নাম উল্লেখ থাকলেও বাকী ৭ টি ছক যেমন মোট সদস্য সংখ্যা, মোট ঋনী সদস্য সংখ্যা, মোট ঋন গ্রহনের পরিমান, মোট আদায়কৃত ঋনের পরিমান, মোট বকেয়া ঋনের পরিমান, মেয়াদত্তীর্ণ খেলাপী ঋনের পরিমান, আত্নসাতকৃত টাকার পরিমান এসব ফাকা রয়েছে। গত ০৭/১২/১৫ তারিখে জুনিয়ার অফিসার(হিসাব) মাহবুর রহমান এবং এআরডিও মানস হালদার সীলসহ স্বাক্ষর করার আসল কপি উদ্ধার হয়েছে। একই ফরমে মনগড়া তথ্য লিখে উত্তম বিশ্বাসকে টাকা আত্নসাতকারী সাজিয়ে বর্তমান আরডিও নিমাই পালকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে ওই মাঠসহকারীকে চাকুরীচ্যুত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ফরমে স্বাক্ষরকৃত আসল কপি সদাবিক প্রকল্পের আরেক মাঠসহকারী সমর কান্তি বিশ্বাস তার সহকর্মী উত্তম বিশ্বাসের কাছে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনা বিকেলে জানাজানির পর অফিস পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই ফরমে আগাম স্বাক্ষরের কপি অসংখ্য লোকে দেখেছেন এবং প্রত্যেকেরই দাবি অনতিবিলম্বে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষ যেন ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।