ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ জানুয়ারি ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মনিরামপুরের তিন যুবককে মালয়েশিয়ায় পাচারে অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

admin
জানুয়ারি ৭, ২০১৬ ২:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ত্রিপুরাপুর গ্রামের তিন যুবককে মালয়েশিয়া পাচার মামলায় একই পরিবারের ৬ জনসহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গতকাল আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার পার খাজুরা গ্রামের কেসমত গাজী ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী গাজী, ছেলে মাজহারুল গাজী, আজহারুল গাজী, আনারুল গাজী, আক্তারুল গাজী, কাঁঠালতলা গ্রামের আজগর গাজী ও তার ছেলে মাসুদ গাজী। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা মানব পাচার দলের সদস্য। ত্রিপুরাপুর গ্রামের সোহরাব খা’র ছেলে রবিউল, ভাতিজা জাকির ও বাবুলকে ঢাকায় ভালো বেতনে চাকরির প্রস্তাব দেয় মাজহারুল ও তার অপর দুই ভাই। তাদের পরিবার এ প্রস্তাবে রাজি হয়। এরপর ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর আসামিরা রবিউল, জাকির ও বাবুকে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে নিয়ে যায়। এরপর আসামিরা তাদের ঢাকার পরিবর্তে টেকনাফে নিয়ে জিম্মি করে এবং বাড়িতে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। ছেলেদের জীবন বাঁচাতে বিকাশের মাধ্যমে মাজহারুলকে ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর মাজহারুল তাদের তিনজনকে মানব পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেশে ফিরে আসে। অভিযোগে আরো উলেখ করা হয়েছে, রবিউল, জাকির ও বাবুলের সাথে বাড়ির লোকজন যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে আসামিদের দারস্থ হয় এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে চাপ দেয়। ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সকালে আসামিরা জানায় প্রত্যেককে ফিরিয়ে আনতে ৩ লাখ টাকা করে দিতে হবে। পাচার হওয়া তিনজনকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে রবিউলের পিতা সোহরাব খা বাদী হয়ে মানব পাচার অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে মণিরামপুর থানা ও পরে সিআইডি পুলিশ তদন্তের দায়িত্ব পায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক (ওসি) খালিদ হোসেন তদন্ত শেষে ৮জনের বিরুদ্ধে পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পান। এরপর তিনি এ চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে উলেখ করা হয়েছে, ভালো বেতনে চাকরির প্রলভোনে আসামিরা রবিউল, জাকির ও টেকনাফে নিয়ে যায়। এরপর মহেশখালির একটি পাহাড়ে নিয়ে ৬ দিন আটকে রেখে নির্যাতন চালায় দালাল বক্কার। ৪ নভেম্বর তাদের তিনজনকে মহেশখালি থেকে একটি ট্রলারে তুলে দেয়। ৪০ দিন সাগরে থাকার পর তাদের থাইল্যান্ডের একটি পাহাড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মত ৮শ’ লোক বিদেশে যাওয়ার অপোয় ছিল। তিনদিন পর দালালরা তাদের মালয়েশিয়া বর্ডার পার করে দেয়। এর মধ্যে ধাওয়া করে মালয়েশিয়া পুলিশ তাদের আটক করে। দীর্ঘ ৭ মাস কারাভোগের পর তারা তাদের নিজ খরচে দেশে ফিরে আসে। চার্জশিটে অভিযুক্ত মাজহারুল বাদে সকলকে পলাতক দেখানো হয়েছে। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।