ঢাকাশনিবার , ৩০ জানুয়ারি ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ম‌নিরামপু‌রে ঋ‌ষি পল্লী‌তে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অ‌গ্নিসং‌যোগ, আহত-১৫

admin
জানুয়ারি ৩০, ২০১৬ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুর (য‌শোরে) প্র‌তি‌নি‌ধি ঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় স্কুল ছাত্রীদের উত্যক্ত করাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা গতকাল শনিবার দুপুরে পাড়ালা ঋষি পল্লীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের পর তিনটি ঘরে অগ্নি সংযোগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও সন্ত্রাসীদের বেধড়ক মারপিটে এসএসসি পরীক্ষার্থী(তিন ছাত্রী) সহ অন্ত:ত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা করানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে সন্ত্রাসী হামলার পর ঋষি পল্লীর বাসিন্দারা ফের হামলার আশঙ্কায় চরম উৎকন্ঠরা মধ্যে রয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের পাড়ালা ঋষিপল্লীর অজিত দাসের মেয়ে জয়ন্তী দাস, নিতাই দাসের মেয়ে শিল্পী দাস এবং পাড়ালা গ্রামের ইউনুচ আলীর মেয়ে রাজিয়া খাতুন সাতগাতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এরা তিন সহপাঠিই এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। জয়ন্তী দাস জানায়, স্কুলে যাওয়ার পথে বেশ কিছুদিন যাবত তাদেরকে উত্যক্ত করে আসছিল বাহিরঘরিয়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন, পাড়ালা গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে মামুন এবং তার বন্ধু রিমন। এ ব্যাপারে ওই তিন ছাত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার জানান, অভিযোগের পর বুধবার ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর এ বিষয়টি জানাজানি হলে ইব্রাহিম সহ তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়। বুধবার স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে জয়ন্তী, শিল্পী ও রাজিয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাদের অভিযোগ পথিমধ্যে ইব্রাহিম ও তার অপর সহযোগীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। বিষয়টি জানতে পেরে জয়ন্তীর পরিবারের লোকজন এসে প্রতিবাদ করে। ফলে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। জয়ন্তীর কাকা গোবিন্দ দাসের অভিযোগ, গতকাল শনিবার দুপুর দ্ইুটার দিকে আবু সাঈদ ও ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী লাঠি সোটা, লোহার রড ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঋষি পল্লীতে গিয়ে মুকুন্দ ও তার স্ত্রী পূর্ণিমাকে মারপিট করতে থাকলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধা দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁধাদানকারীদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এতে ওই পল্লীর গোবিন্দ দাস, মুকুন্দ দাস, জিতেন্দ্র দাস, পূর্নিমা দাস, জয়দেব দাস, সকালী রানাী দাস, অধির দাস, নীল কুমার দাসসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আসবাবত্র সহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুরের পর গোবিন্দ, মুকুন্দ ও নীল পদ দাসের ঘরে অগ্নি সংযোগ করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের পর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তবে এ হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আবু সাঈদ বলেন, বরং আমি সন্ত্রাসীদের বাঁধা দিয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর আমি সরেজমিনে গিয়ে কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে দেখেছি, তবে ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা জানতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শী গীরি বালা দাস জানান, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রান্না ঘরের হাড়ি-পাতিলও রেহায় পায়নি। তারা একে একে সব ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। অপর এক গৃহবধু মিনতী দাস জানান, সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় তাদেরকে শাসিয়ে যায়, এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে রাতে আবারও হামলা করা হবে। খবর পেয়ে নেহালপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রাকিবের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসআই রাকিব জানান, দোষিদের আটকের জন্য এলাকায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মনিরামপুর থানার ওসি তাহেরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
~~~~~~~~~~~~~
ম‌নিরুজ্জামান টি‌টো
ম‌নিরামপুর,য‌শোর।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।