বিশেষ প্রতিনিধি:
মণিরামপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান স্থলের পাশেই যুবলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদ হত্যার ঘটনা তিন দিন পার হলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িতদের বাঁচাতে মোটা অংকের অর্থের মিশনে মাঠে নেমেছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা। ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী ও একাধিক মামলার আসামী রিপন এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলের পাশেই যুবলীগ কর্মী রাজু আহম্মেদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ঘটনার আগে সংবর্ধনা মঞ্চের সামনে চেয়ারে বসে ছিলো রাজু আহম্মেদ। এসময় স্থানীয় বখাটে, মাদক কারবারী ও একাধিক মামলার আসামী রিপন হোসেন এবং এমরান তাকে জোর পূর্বক চেয়ার থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। রিপনের মাদক কারবারে বাঁধা ও স্থানীয় এক এনজিও কর্মীর সাথে পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ করায় সম্প্রতি রাজুর সাথে রিপনের বাকবিতান্ডের ঘটনা ঘটে। রাজু হত্যার পর থেকেই গা ঢাকা দেয় রিপন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।
এদিকে রাজু হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা মোটা অংকের অর্থের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে, ছেলে হত্যার বিচার ও অবিলম্ভে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের দাবি জানিয়েছেন রাজুর পিতা গোলাম মোস্তফা। মণিরামপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক পলাশ কুমার জানান, রারু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে