ঢাকাবুধবার , ২০ এপ্রিল ২০১৬
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দালাল চক্রের নিয়ন্ত্রনে চলছে মণিরামপুর কৃষি অফিসের কার্যক্রম সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকরা

admin
এপ্রিল ২০, ২০১৬ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ চরম অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে মণিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসের কার্যক্রম। সরকারী বিভিন্ন সহায়তা ও কৃষক প্রশিক্ষণসহ সকল ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে দূর্নীতি। বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত কৃষকরা। দালাল চক্রের হাতে চলে গেছে সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা তৈরীর কাজ।

সরেজমিন উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানাযায়, সরকারী ভাবে বরাদ্দকৃত বিভিন্ন প্রনোদনা, কৃষি উপকরন ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতি চলছে উপজেলা প্রায় সবক’টি ব্লকে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষকরা। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় তাদের নির্ধারিত দালালদের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের দূর্নীতির কার্যক্রম। কৃষি ক্ষেত্রে দেওয়া সরকারী সহায়তা পেতে হলে যোগাযোগ করতে হয় এসব দালালদের সাথে। প্রতিদিন সকাল হলেই এসব দালালরা ভীড় জমান উপজেলা কৃষি অফিসের বারান্দায়। তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ীই সুবিধা প্রদান করে থাকে কৃষি অফিস। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন ব্লক ঘুরে জানযায়, উপ-সহাকরী কৃষি অফিসারদের নির্ধারিত এজেন্টের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় ব্লকের সকল কার্যক্রম। নেহালপুর ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি ব্লকে সকাল ১১ টায় যেয়ে কোথাও পাওয়া যায়নি ওই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কমকর্তা একেএম নিজামউদ্দিনকে। মোবাইলে কথা হয় তার সাথে। সাংবাদিকদের নামের সাথে মিলে যায় তার কোন এক পরিচিত ব্যাক্তির নাম। পরিচয় জানার আগেই শুধু নাম শুনেই আপ্লুত হয়ে বলতে থাকেন নিজের সকল কথা। কোন প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলেন, আজ শরীরটা ভাল লাগছেনা তাই আসেনি এলাকায়, খুলনা জেলার ফুলতলার বাড়িতেই আছেন তিনি। কালও আসবেননা। একবারে রোববার দেখা হবে। আবেগাপ্লুত হয়ে বলে ”ভাই আপনার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম, সময় করতে পারেনি। কিছু মনে করবেন না। প্রনোদনার টাকা আপনি পাবেনই। শুধু একজন কৃষকের নাম দেন। তার নামে তুলে আপনাকে দিবো। আপনার নাম দিলে এলাকায় কথা উঠতে পারে।” এক প্রশ্নে জবাবে তিনি আরো বলেন ”এ কাজে আমাদের ক্ষমতা আপনার জানা নেই, কোন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও’র কিছুই করার নেই, আমরা যে তালিকা দেব সেটায় হবে। ওটা নিয়ে আপনি ভাবছেন কেন?” এরপর সাংবাদিক পরিচয় জানালে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি। ওই এলাকার কৃষকরা জানান, স্থানীয় এক ভূমিহীন ব্যাক্তির সাথে তার রয়েছে সখ্যতা। নিজে নিয়মিত এলাকায় না এসে ওই ব্যাক্তির মাধ্যমে উৎকোচ নিয়ে বঞ্চিত করছে প্রকৃত কৃষকদের। স্থানীয় কৃষক মানিক মহলদার জানান, ”আমরাতো তারে মাসে চান্দে দু’একদিন দেহি। কহন আসে, কহন যায় কিডা কবে” অপর কৃষক শহিদুল বলেন ”সরকারী ভাবে কি আসেনা না আসে তা আমরা জানতিও পারিনে”। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার শুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।