1. admin@manirampurprotidin.com : admin :
  2. hnurul146@gmail.com : nurul :
  3. titonews24@gmail.com : Tito :
শিরোনাম :
অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাবের ভার্চুয়াল সাধারণ সভা অনুিষ্ঠত : অভিষেকের প্রস্তুতি হাইকোর্টের নির্দেশে কেশবপুরে অবৈধ “রোমান ব্রিকস” ভেঙ্গে দিল প্রশাসন মাদ্রিদে হবিগঞ্জবাসীর মিলন মেলায় মুখরিত লাভপিয়েছ মণিরামপুরের জুড়ানপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরে বাঁধা মালিতে জাতিসংঘ শান্তিপদক পেলেন বাংলাদেশের ১৩৯ জন শান্তিরক্ষী কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মণিরামপুরে সাংবাদিক পুত্র মাহির গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ মণিরামপুরে ইকবালকে কমিটি গঠন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ : রোহিতার আহ্বায়ক বহিষ্কার মণিরামপুরে ২দিন ব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার শুভ উদ্বোধন মণিরামপুরে গ্রাম ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর হাতে পঁচন ।। আদালতে মামলা

মণিরামপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা এলাকায় যান মাসে দু’এক দিন, তোষামোদিতেই সময় পার

  • আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৬
  • ৩১৭ দেখেছেন

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
মণিরামপুর কৃষি অফিসের অধিকাংশ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়মিত কর্ম এলাকায় না যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া উর্দ্ধতন কর্মকতাদের ম্যানেজ করে দিনের পর দিন এলাকায় না যেয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন এসব কর্মকর্তারা। এতে সরকারের কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষি সেবা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষনা বাস্তবায়নে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জানাযায়, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আওতায় ১৭ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ টি ব্লক রয়েছে। একটি মাত্র ব্লক বাদে প্রতিটি ব্লকে একজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দ্বায়িত্বে রয়েছে। এসব কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকায়তো থাকেনইনা বরং উপজেলার গন্ডি ছাড়িয়ে অনেকেই জেলা শহরসহ অন্য জেলা থেকে মাঝে মাঝে এসে হাজিরা দিয়ে যান। অনেকে আবার এলাকায় পোষ্টিং হওয়ায় ব্যস্ত থাকের পারিবারিক কাজে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ছাড়াই নিজ ব্যবসা-বানিজ্য, চাষাবাদসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে কয়েকজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে। এদের মধ্যে রয়েছেন খাকুন্দি ব্লকের রেজাউল ইসলাম। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে জানাযায়, দিনের বেলায় তার দেখা না মিললেও, হাটে এসে চায়ের দোকানে বসেন তিনি। সেখানে বসেই সেরে নেন চাকুরির কার্যক্রম। একই দৃশ্য দেখা গেছে হোগলাডাঙ্গা ব্লকে। প্রতিদিন সকাল হলেই তিনি চলে আসেন মণিরামপুর উপজেলা সদরে। সেখানে সারাদিন কাটিয়ে ফেরেন বাড়িতে। না প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি অফিসের এক সূত্র জানায়, তাকে এলাকায় কাজ করতে বললে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত এক নেতাকে দিয়ে হুমকি দিয়ে থাকেন।
সরেজমিনে উপজেলার পাঁচাকড়ি, কপালিয়া, মনোহরপুর, খাকুন্দি, হরিদাসকাটি, মশ্বিমনগর, পোড়াডাঙ্গা, কাশিমনগরসহ বিভিন্ন ব্লক এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা এলাকায় আসেন মাসে দু’এক দিন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কোন প্রোগ্রাম থাকলে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে কিছু লোক সমাগম করে অনুষ্ঠান শেষ করতে পারলেই এলাকা ছাড়েন এসব উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। অনেকে আবার বছর সালে দু’একদিন এলাকায় যান বলে একাধিক সূত্র জানায়। এসব উপ-সহকারী কর্মকর্তাগণ তাদের কর্ম এলাকায় না গিয়ে সকাল হলেই চলে আসেন উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে। এখানে এসে উর্দ্ধতন কর্তকতাদের তোষামোদিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তাদের। কেউ কেউ আবার স্যারের কাছের লোক হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। এসব কাছের লোক হিসেবে পরিচিত উপ-সহকারী কর্মকর্তারা প্রভাব খাটিয়ে সরকারী মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন নিজেদের পারিবারিক কাজে। জানতে চাইলে এসব উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের একজন জানান, অফিসে অনেক কাজ থাকে, যা আমাদেরই করতে হয়। নিজ কর্ম এলাকা ছেড়ে কৃষকদের সেবা বঞ্চিত করে কিভাবে অফিসে কাজ করছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, ”স্যারেরা বলেছে কাজ করতে-করছি, এভাবেই আছিতো অনেক দিন।” অনেকেই আবার সরকারী বিভিন্ন প্রোগ্রামের সময়েও এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। স্থানীয় এক শ্রেণীর দালালদের মাধ্যমে তৈরী করেন বিভিন্ন কাজের ডাটাবেস। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত তরফদার বলেন, আমি এখানো যোগদান করার আগে থেকেই চলছেতো এভাবেই, কিছুতো হয়নি। আমি আর কিছু করতে যায়নি।


এ খবর টি সোস্যাল মিডিয়াতে এ পোষ্ট করুন

এ জাতীয় আরও খবর




© All rights reserved © 2013-2022