মণিরামপুরে ঈদের দিন প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষনের শিকার প্রেমিকার থানায় অভিযোগ

মনিরুজ্জামান টিটো ঃ
মণিরামপুরে ঈদের দিন প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে এক ষোড়শি। এঘটনার প্রায় ২০ ঘন্টা পর শুক্রবার নির্যাতিতা নারী বাদি হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের দিনমজুরের ষোড়শি কণ্যা ঈদের দিন প্রেমিক পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া খানপুর গ্রামের মৃত হাশেম দফাদারের ছেলে আল-আমিনের সাথে নওয়াপাড়া এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে পথিমধ্যে উপজেলার কালিবাড়ি বাজারে এসে একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে প্রেমিকের সাথে নেহালপুর মাদরাসার সামনে আসলে একদল লম্পট তাকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে কাপড় দিয়ে হাত ও মুখ বেঁধে তার উপর একের পর এক পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রেমিক আল-আমিনের সহযোগীতায় পরিকল্পিতভাবে ওই স্থানে পূর্বথেকে ওৎপেতে থাকা লম্পট উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মোশারফ দফাদারের লম্পট পুত্র রিপন হোসেন, একই গ্রামের জামাত দফাদারের ছেলে মিজানুর রহমান, আসাদ দফাদারের ছেলে রিজভি এবং বালিধা গ্রামের মশিয়ার শেখের ছেলে শামীম শেখ তার উপর রাতভর নির্যাতন চালিয়েছে। ভোরে প্রেমিক রূপী ধর্ষক আল-আমিন পাশবিক নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়া ওই নারীকে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে পরেরদিন শুক্রবার এলাকার গণ্যমান্যদের সহায়তায় মণিরামপুর থানায় এসে ওই নির্যাতিতা বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রেমিক রূপী ধর্ষক তার বন্ধুদের দিয়ে আকিজ জুট মিলের শ্রমিক ওই ষোড়শির উপর এমন পাশবিক ঘটনা চালিয়েছে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, নির্যাতিতা নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, অভিযুক্তদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।