ঢাকাশুক্রবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের আলোচিত ধর্ষন ঘটনায় বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ॥ বাদি লাপাত্তা

Tito
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭ ৩:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি:
মণিরামপুরের আলোচিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাদির এজাহার ও ভিকটীমের বক্তব্যের মধ্যে মিল খুজে না পাওয়া বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েছে পুলিশ। এদিকে আদালতে মামলার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে বাদি পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হাকিমপুর ও মনোহরপুর গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের আব্দুল খালেক বিশ্বাসের মালেয়শিয়া প্রবাসি ছেলে একসন্তানের জনক তরিকুল ইসলামের সাথে ওই কথিত স্কুল ছাত্রী টেলিফোনে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়। স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে স্থানীয় মনোহরপুর গ্রামের মোরশেদ আলীর ছেলে রুবেলের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। প্রায় বছর খানেক এভাবে চলার পর সম্প্রতি রুবেলকে ছেড়ে হাবিবুর রহমান নামের এক পুলিশ সদস্যের ছেলে রুমানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে ওই প্রবাসীর স্ত্রী। কিন্ত তাদের এ সম্পর্ক সহজে মেনে নিতে পারেনি সাবেক প্রেমিক রুবেল। উপজেলার হাকিমপুর (নলতা) গ্রামের জনৈক মনিরুল ইসলাম জানান, রুমানের মোটরসাইকেলে চড়ে ওই মেয়েটি প্রায়ই এই গ্রামে আসতো। বিগত ৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার পরপরই মেয়েটি রুমানের মোটরসাইকেল চড়ে পুনরায় হাকিমপুর গ্রামের কবিরাজ সাখাওয়াত হোসেনের বাড়িতে আসে। সন্ধ্যার পর ওই ছেলের (রুমান) সাথে কবিরাজ বাড়িতে আসায় সন্দেহ হলে এলাকাবাসি তাদের মধ্যে সম্পর্ক জানতে চাইলে তারা নিজেদের স্বামী স্ত্রী দাবি করে। কবিরাজ সাখাওয়াত জানায়, তদবির নিতে আসার কথা জানালে তাদেরকে ঘরে বসতে দিয়ে তিনি পাশের দোকানে বিস্কুট আনতে গেলে তারা ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর তাদের পিছু লেগে থাকা ভিকটীমের পুরাতন প্রেমিক রুবেল তার বন্ধু মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে রয়েলকে সাথে নিয়ে কবিরাজ বাড়িতে পৌছায় এবং কবিরাজের কাছ থেকে ঘরে আছে জানতে পেরে তারা ওই ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে অপকর্মের ভিডিও করে। একই ঘরে দরজা দিয়ে সময় কাটানোর ঘটনা দ্রুত জানাযানির হলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ভিড় জমালে মেয়েটি তাদেরকে জানায়, ছেলেটি তার পরিচিত, তবে তাকে জোর করে শ্লীতহানির চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর তারা সেখান থেকে ছটকে পড়ে। পরবর্তীতে ওই রাতেই মেয়েটির মা পারুল বেগম মণিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে ভিকটীমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। এঘটনার পর ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয় সাবেক প্রেমিক রুবেল। এসব ঘটনা জানতে পেরে প্রবাসী স্বামী তরিকুল ইসলাম দ্বিতীয় স্ত্রীকে আর গ্রহন করবেন না বলে জানিয়ে দেয় বলে সুত্র জানায়। ঘটনার একদিন পর ৯ ফেব্রুয়ারী মেয়েটির মা পারুল বেগম বাদি হয়ে প্রেমিক রুমান, সাবেক প্রেমিক রুবেল ও বন্ধু রয়েলকে আসামী করে যশোরের আদালতে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এমামলাটি দায়ের পর থেকে বাদি ও তার পরিবারের সদস্যরা লাপাত্তা। শুক্রবার সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে ঘর তালাবদ্ধ। আশেপাশের প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার পর থেকেই তাদেরকে বাড়িতে বেশি একটা দেখা যাচ্ছে না। এদিকে মেয়েটি স্কুল ছাত্রী দাবি করে একটি চক্র ঘটনাটিকে গণধর্ষন বলে চালিয়ে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলম জানান, ভিকটীম আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে প্রচার পাচ্ছে, কিন্তু সে অত্র বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেনা। রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আইনুদ্দিন বিশ্বাস জানান, ভিকটীমের জবানবন্দি ও বাদির নালিশের মধ্যে কোন মিল খুজে পাচ্ছিনা। মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আমাদের কাছে বাদি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সাথে সাথে তা আমলে নিয়ে আসামীদের আটকের অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইতিমধ্যে ওই কবিরাজকে পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।