ঢাকাশুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে ইয়াবা দিয়ে ব্যবসায়ীকে ফাঁসাতে গিয়ে ইউপি মেম্বার পাকড়াও

Tito
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭ ৪:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি :
মণিরামপুরের মুড়াগাছা বাজারে চাঁদা না পেয়ে একটি দোকানে ইয়াবা রেখে ব্যাবসায়ীকে হয়রানির চেষ্টার অভিযোগে দিনভর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় মেম্বার মানোয়ার হোসেন ও গৌরাঙ্গ নামে তার এক সঙ্গীকে পাকড়াও করেন ব্যবসায়ীরা। তারা ওই মেম্বারসহ তার সহযোগী দুই যুবকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন। রাতে পুলিশ গিয়ে মেম্বারকে মুক্ত করে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। এতে এলাকাবাসির মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে মুড়াগাছা বাজারের ‘রহিমা এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে ইয়াবা আছে এমন খবরে স্থানীয় খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সামনে হর হয়। কিন্তু দোকান বন্ধ দেখে পুলিশ ফিরে যায়। খবর পেয়ে দোকান মালিক মফিজুর রহমান দ্রুত দোকান খুলে দেখতে পান দরজার নীচ দিয়ে একটি পলিথিন ব্যাগে তিনটি ইয়াবা ট্যাবলেট রাখা রয়েছে।
এঘটনায় ব্যবসায়ীরা সকল দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ঘটনার দিন বিকালে ব্যবসায়ী স্থানীয় ইউপি মেম্বার মনোয়ার হোসেনর সহযোগী গৌরাঙ্গকে বাজার থেকে ঘেরাও করে। গৌরাঙ্গ এসময় ব্যবসায়ীদের বলেন, মেম্বারের নির্দেশেই সে এবং গওসল নামের স্থানীয় অপর এক যুবক ওই ইয়াবা গুলো ঢুকিয়ে রেখে পুলিশে খবর দেয়। এর কিছুক্ষুন পরই মেম্বার মনোয়ার বাজারে আসলেই বিক্ষুব্ধরা তাকেও ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। খেদাপাড়া পুলিশ ফাঁড়িন ইনচার্জ এসআই ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রাতে মণিরামপুর থানার অফিচার্জ ইনচার্জ মোকাররম হোসেন ঘটনাস্থলে পৌছালে মেম্বার ও তার সহযোগীদের আটকের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়রা। কিন্তু পুলিশ ওই মেম্বারকে আটক না করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানে জিম্মায় রেখে আসেন। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বাজারের একাধিবক ব্যবসায়ী জানান, মনোয়ার মেম্বার স্থানীয় একটি বাহিনী গঠন করে মুড়াগাছা বাজারসহ আশেপাশে কয়েকটি মাদক স্পট পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সে নীরবে চাঁদাবাজি করে থাকে বলেও একাধিক অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। কেউ তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই তার বাড়িতে বা দোকানে ইয়াবা বা মাদক রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশকে ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি করলেও হয়রানীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় সাধারন মানুষ। এছাড়াও এলাকার সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তাকে চাঁদাদিতে হয় বলে জানান এলাকাবাসি। এবারের ঘটনায় জনতা তাকে পাকড়াও করে পুলিশে দিলেও পুলিশ তাকে আটক না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়ে সাধারনের মাঝে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আনছার আলী জানান, ওই ব্যবসায়ী মাদকতো দুরের কথা সিগারেট পর্যন্ত খায়না, ইয়াবা রাখার অভিযোগে মেম্বারকে জনতা আটক করেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য আমার পুলিশ তাকে আটক করেনি। থানর অফিসার ইনচার্জ মোকাররম হোসেন বলেন, ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য চেয়ারম্যানের জিম্মায় মেম্বারকে রাখা হয়েছে।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।