ঢাকাশুক্রবার , ১৪ নভেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে এসএসসি পরীÿার্থীদের নিকট থেকে বাড়তি ফিস আদায়ের অভিযোগ ভোগামিত্মতে অবিভাবকরা

admin
নভেম্বর ১৪, ২০১৪ ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মণিরামপুরের বিভিন্ন বে-সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿকদের বিরম্নদ্ধে এসএসসি পরীÿার্থীদের নিকট থেকে প্রায় দ্বিগুণ পরিমান বাড়তি পরীÿার ফিস আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ফলে সমত্মানের বাড়তি পরীÿার ফিস যোগাড় করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ অভিভাবকরা।
সংশিস্নষ্ট সুত্রে জানা যায়,এবছর যশোর শিÿা বোর্ডের আওতায় এসএসসি পরীÿার ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে পরীÿার্থী প্রতি মানবিক ও বানিজ্য বিভাগের জন্য ১২৬৫ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৩৫৫ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে কেন্দ্র ফিস ৩০০ টাকা,সার্টিফিকেট ফি ১০০ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী নির্ধারিত ফিস আদায়ের জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বোর্ড থেকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তার তোয়াক্কা করছেন না উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿকরা। অপরদিকে কোচিং এর দোহাই দিয়ে উপজেলার বে-সরকারী স্কুলগুলো জোরপূর্বক পরীÿার্থীদের নিকট থেকে ১৮ শত থেকে শুরম্ন করে প্রায় ২ হাজার ৫ শত টাকা পর্যমত্ম আদায় করছেন যা মূল ফিসের প্রায় দ্বিগুণ। যদিও অধিকাংশ শিÿার্থীরা এই কোচিং বানিজ্যের ঘোর বিরোধী। এদিকে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা মত সমত্মানের অতিরিক্ত পরীÿার ফিস সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অভিভাবকরা। ফলে তারা এই বিষয়ে উদ্ধতন কর্তৃপÿÿর আশু হসত্মÿÿপ কামনা করছেন। বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকসহ পরীÿার্থীদের সাথে আলাপকালে এসব অভিযোগ উঠে আসে। অবশ্য গত সোমবার উচ্চ আদালত কেন অতিরিক্ত ফিস আদায় বেআইনী হবে না আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দেখাতে সকল বোর্ড প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরীÿার্থীদের সাথে আলাপকালে তারা জানায়,আমাদের অনেকে কোচিং না করার পÿÿ। কিন্তু স্যাররা বলেছে কোচিং কর আর না কর স্কুলের নির্ধারিত ফিস না দিলে কাউকে পরীÿা দিতে দেওয়া হবে না। উপজেলার চাঁদপুর-মাঝিয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে আলাপকালে তারা অভিযোগ করে বলে, প্রধান শিÿক মুন্না আমাদেরকে পরীÿার ফিস ২৪ শত টাকা করে চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জমা দিতে বলেছে। এর কম ফিস জমা দিলে পরীÿা দিতে দেবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই প্রতিষ্ঠানের এক শিÿক বলেন, কোচিং ফিস বাবদ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে বাড়তি ১২ শত টাকা করে আদায় করলেও আমাদের একটি টাকাও দেননা প্রধান শিÿক। পুরোটাই তিনি একাই ভোগ করেন। এবছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ জন পরীÿার্থী পরীÿা দেবে বলে আশা করছি। এদের নিকট থেকে অতিরিক্ত আদায় করা প্রায় ২৪ হাজার টাকা প্রধান শিÿক মুন্না একাই ভোগ করবেন। এবিষয়ে প্রধান মিÿক মুন্নার কাছে জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশিস্নষ্টদের সাথে আলাপ কালে তারা কোচিং বাবদ অতিরিক্ত ফিস নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, যে অতিরিক্ত ফিস আদায় করা হচ্ছে সেটা স্কুলের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অথবা বকেয়া বেতন ও পরীÿার ফিস হিসাবে আদায় করা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে কোন মমত্মব্য করতে রাজি হননি জয়পুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিÿক পরিতোষ। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিÿা কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান, যেহেতু এই ব্যাপারে উচ্চ আদালত রম্নল জারি করেছে তাই আদালতের সিদ্ধামত্ম অনুযায়ী আমাদের যে ভাবে নির্দেশ দেওয়া হবে আমরা সেভাবে কাজ করব।

14.11.2014

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।