ঢাকারবিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডা. মেহজাবিনের দ্বিতীয়দফা ময়নাতদন্ত নিয়েও ধোঁয়াশা

admin
ডিসেম্বর ২১, ২০১৪ ২:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ খান টিপু সুলতানের পুত্রবধূ ডা.শামারুখ মেহজাবিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর ১৬ দিন পার হলেও আজও মেলেনি দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন।তবে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের আংশিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও রাজধানীর মহাখালীর ভিসেরা সেন্টার থেকে তার কিডনী, লিভার, পাকস্থলি পরীক্ষার প্রতিবেদন না পাওয়ায় পুন:ময়না তদন্তের পূর্াঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। তবে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন করা নিয়েও নানা অভিযোগ, অবিশ্বাস ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।SUMII-24.11.2014

নিহতের বাবার অভিযোগ যশোরের সিভিল সার্জন ইচ্ছা করেই এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব করছে।ডা. মেহজাবিনের পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলছেন, যশোর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমানের ভূমিকাও এ ক্ষেত্রে আমার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে।সিভিল সার্জন আমাকে বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন।তাই দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে। গত ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় যশোর শহরের কারবালা কবরস্থান থেকে ডা. মেহজাবিনের লাশ উত্তোলনের পর যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজমুল হুদা, ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. হুসাইন সাফায়াত, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.শামসুল আলম দোদুল ও ডা. আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে ডা. মেহজাবিনের লাশ পুন:ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় এবং ওই দিনই তার লাশের দাফন করা হয়। নিহত ডা. মেহজাবিনের বাবা ও গণপুরত বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বলেন, পুন:ময়নাতদন্তের পর থেকে আমি নিয়মিত জেলার সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ওনাকে কখনো ঠিকমত অফিসে পাওয়া যায়না। ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি আজ খুলনা, কাল ঢাকায়, পরশু জরুরি মিটিংয়ে আছি বলে ফোন কেটে দেন। এতে আমার সন্দেহ হয় যে মেহজাবিনের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য তিমিরেই থেকে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, মেহজাবিনের লাশ উত্তোলনের পর আমি ময়নাতদন্তকারী একজন ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে আমার মেয়ের মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে কি না। ওই ডাক্তার আমাকে বলেছেন আমি তেমন কিছু দেখিনি। কিন্তু কোন মানুষ যদি গলায় ফাঁস দেয় কিংবা তাকে ফাঁসি দিয়ে মারা হয়। তবে তার মেরুদন্ডের হাড় বা ঘাড় ভেঙ্গে যায়। কিন্ত মেহজাবিনের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। নিহত ডা. শামরুখ মেহজাবিনের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত শেষে শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করে তা রাজধানীর মহাখালীর ভিসেরা সেন্টারে পাঠানোও হয়। তবে এখনো পর্যন্ত মহাখালীর ভিসেরা সেন্টার থেকে তার পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।ফলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের আংশিক প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের যেটুকু পাওয়া গেছে তাতে কী আছে জানতে চাইলে তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন জেলা সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, পুরো প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর তা প্রকাশ করা হবে।ডা. মেহজাবিনের বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামকে আপনি এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ রয়েছ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ২৫ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর মূখ্য হাকিম বিকাশ কুমার সাহা ডা. মেহজাবিনের লাশ উত্তোলন করে পুনঃময়নাতদন্তের আদেশ দেন।মামলার বাদি ডা. শামারুখের বাবা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে আদালত লাশের পুন:ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সিভিল সার্জনসহ তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ডা. মেহজাবিনের পুন:ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খান বলেন, ডা. মেহজাবিনের পুন:ময়না তদন্তের আংশিক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। তবে রাজধানীর মহাখালী ভিসেরা সেন্টার থেকে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশের নমুনার পরীক্ষার প্রতিবেদন আজও আমাদের হাতে এসে পৌছায়নি। তাই পুরো প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আংশিক ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের ডা. শামরুখের মৃত্যুর কারন কি জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক বলেন, পুরো প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন কথাই বলা যাবে না। এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ডা. শামারুখের প্রথম দফা ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই রতিবেদনে শামারুখ আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো। যা শামারুখের বাবা প্রত্যাখান করেছিলেন। ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডা. শামারুখ মেহজাবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।তিনি রাজধানীর ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসায় তাঁর শ্বশুর টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা ও স্বামী হুমায়ুন সুলতান সাদাবের বসবাস করতেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।