ঢাকারবিবার , ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইছাক আলীর স্মৃতি কথা

admin
ডিসেম্বর ২১, ২০১৪ ৫:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মণিরামপুরের মুক্তিযোদ্ধা ইছাহাক আলীর স্মৃতি কথা। উপজেলার জামজামি গ্রামের ইছাক আলী ভারতের বনগাঁর চাপাবাড়ীয়া যুব ক্যাম্পে ১৫ দিন, এর পার্শববর্তী বারাকপুর ক্যাম্পে ১০ দিন, এবং ভারতের বিহার প্রদেশের চাকুলিয়া সিংভূম ক্যাম্পে ৩১ দিন গেরিলা প্রশিক্ষন গ্রহন করেন মুক্তিযোদ্ধা ইছাক আলী। এ প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে অশ্রু ভেঁজা চোখে তিনি জানান, ওই সময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর, বর্তমান ৬৩ বছর চলে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তিনি বলেন, পিতা-মাতাসহ আত্মীয়-স্বজন ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম দেশ স্বাধীনের জন্য। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের পূর্বে তিনি এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। উপজেলার জামজামি গ্রামের মৃত জাহাতাফ মোল্যা এবং মা সুন্দরী বিবির পূত্র তিনি। পিতা মারা যান ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে এবং মারা যান ২০০৬ সালে। বিবাহিত জীবনে ২ সন্তানের জনক তিনি। বড় কন্যার নাম রিনা খাতুন এবং ছোট ছেলে রাসেল হোসেন। তিনি ১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মালায়েশিয়া থেকে পুলিশের চাকরী পান। এরপর তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিগত ১৯৯৮ সালে চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। ৭১ সালের ৫ এপ্রিল তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন এবং ভারতে গেরিলা প্রশিক্ষণসহ সকল প্রশিক্ষণ শেষে তিনি নিজ দেশে আসেন। তিনি প্রথম যুদ্ধে অংশ নেন জেলার কেশবপুর উপজেলার চিংড়া বাজারের হাইস্কুল মাঠে। এতে ৫০/৬০ জন রাজাকার তাদের হাতে নিহত হয়। এরপর মণিরামপুর উপজেলার ডুমুরখালী ও রাজগঞ্জ এলাকায় খান সেনাদের সাথে কয়েক দফা যুদ্ধে অংশ নেন তিনিসহ তার সাথে থাকা অন্যান্যরা । ওই দিন ১৩ জন খান সেনা নিহত হয়। সর্বশেষ ৬ ডিসেম্বর উপজেলার রাজগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পযর্ন্ত রাজাকারদের সাথে তাদের তৃণমুল লড়াই হয়। এখানে ১০০ জন রাজাকর জীবিত অবস্থায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ তাদের কাছে আত্মসর্মপণ করে। পরে স্থানীয় জনতা ওই রাজাকারদের গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী বাঁওড়ের পানিতে ফেলে দেয়। মণিরামপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালনকারী ইছাক আলী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে কান্না জড়িত কন্ঠে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সচেতন ব্যাক্তিদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, তিনি মারা গেলেও যেন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্মান থেকে যেন বঞ্চিত না হন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।